এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩১ মে : সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেপ্তার করতে ১৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রামে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে। গত ১৫ মে গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই শর্মিষ্ঠাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । কিন্তু শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানো তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হল না কেন ? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি ।
এক্স-এ সায়নী ঘোষের একটা পুরনো টুইটের প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে এনে তরুনজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, ‘কলকাতা পুলিশের এই স্পষ্ট দ্বিমুখী নীতি কেন? ১৪.০৫.২০২৫ তারিখে, হজরত মুহাম্মদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে শর্মিষ্ঠা নামে এক মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, তবুও তাকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ১৬.০১.২০২১ তারিখে, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় শিবলিঙ্গের অবমাননাকর ছবি আপলোড করার জন্য বর্তমানে তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (U/S 295A IPC) দায়ের করেন – যা ভগবান শিব এবং হিন্দু অনুভূতির স্পষ্ট অপমান। আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার সময় হিন্দু বিশ্বাসকে আঘাত করা কেন উপেক্ষা করা হচ্ছে? কলকাতা পুলিশ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী নির্দেশে কাজ করছে? নাকি তার শাসনকালে হিন্দু দেবতাদের অপমান করা সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য? আমরা এর উত্তর চাই: সিপি কলকাতা ডিজিপি পশ্চিমবাংলা কলকাতা পুলিশ ন্যায়বিচার নির্বাচনী হতে পারে না। আইনের শাসন সকলের জন্য সমান হতে হবে।’
প্রসঙ্গত,২০১৫ সালে সায়নী ঘোষের এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার করা হয়। ছবিতে দেখা যায় শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরাচ্ছেন এক মহিলা। আর গ্রাফিকের ভিতরে লেখা, ‘বুলাদির শিবরাত্রি।’ এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় । বিশেষ করে রাজ্য বিজেপির তরফে তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু শাকসদলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ।।

