এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেলুচিস্তান,২৭ মে : পাকিস্তানের আসুরিক সেনার কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিল ভারত । স্বাধীনতার পর ৩০ শতাংশ হিন্দু অধ্যুষিত বাংলাদেশ নিজেকে উদার ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলবে বলে আশা করা হয়েছিল । কিন্তু ইরাকি বংশভূত শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের ধারনার বীজবপন করে যান । যা আজ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ইসলামি রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে শরিয়া শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে ।
ঠিক একই চিত্র দেখা যাচ্ছে বেলুচিস্তানে। বাংলাদেশের ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পুনরাবৃত্তির সূচনা হয়ে গেছে সেখানে ৷ তবে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিলেও এখনো স্বাধীনতা কামী বেলুচদের পাশে সরাসরি এসে দাঁড়ায়নি ভারত । এদিকে স্বাধীনতা আন্দোলন প্রবল আকার ধারন করেছে বেলুচিস্তানে । দেরি হলেও বেলুচিস্তান যে স্বাধীন হবেই,এটা নিশ্চিত । কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর বেলুচিস্তানের নীতি কি হবে ? বেলুচিস্তান কি নিজেকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবে নাকি উদার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলবে ? এই বেলুচিস্তানেই রয়েছে হিন্দুদের একটা পবিত্রতম তীর্থস্থান… দেবী হিংলাজ মাতার মন্দির । যেখানে আজও হাজার হাজার পূণার্থীদের সমাগম হয় । সেই পৌরাণিক মন্দিরের ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে বেলুচদের নীতির উপর ।
জনৈক মির ইয়ার বেলুচ নামে নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী স্বাধীনোত্তর বেলুচিস্তানের নীতি সম্পর্কে নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন । তিনি লিখেছেন,
স্বাধীনোত্তর বেলুচিস্তানে, আমাদের সামনে অনেক কাজ রয়েছে, যেমন বেলুচিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি, হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সমগ্র অঞ্চলে রাস্তা, মহাসড়ক এবং রেললাইন, বিমানবন্দরের নেটওয়ার্ক স্থাপন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আইটি সেন্টারে সজ্জিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি, আমরা হিংলাজ মাতা মন্দিরের উন্নয়ন এবং সংস্কারের দিকেও বিশেষ মনোযোগ দেব।
যেখানে বর্তমানে পাঁচ লক্ষ মানুষ দর্শনের জন্য আসেন, সেখানে আমরা বার্ষিক পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের জন্য দর্শন সম্ভব করে তুলব। বিশ্বজুড়ে আমাদের হিন্দু ভাইবোনদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল – তারা যেন তাদের জীবনে অন্তত একবার হিংলাজ মাতার কাছে মাথা নত করতে পারে। আমরা তাদের বেলুচিস্তানে উষ্ণভাবে স্বাগত জানাই। তাছাড়া, বেলুচিস্তান একটি উদার ও গণতান্ত্রিক দেশ হবে এবং আমি ভবিষ্যতের স্বাধীন বেলুচিস্তান সরকারকে যোগব্যায়ামের জন্য একটি বৃহৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুরোধ করছি, যেখানে প্রতি বছর একটি আন্তর্জাতিক যোগ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই আন্তর্জাতিক যোগ কেন্দ্রটি প্রায় দশ লক্ষ মানুষের থাকার জন্য পরিকল্পনা করা হবে, যেখানে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। যোগ একটি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম এবং বেলুচিস্তান জুড়ে এটি চালু করা উচিত।’
তিনি আরও লিখেছেন,’বেলুচিস্তান পৃথিবীর স্বর্গ, যেখানে সকল ঋতু এবং ভূখণ্ড রয়েছে এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করবে এবং এর পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। আমাদের স্বাধীনতা ধর্মীয় সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং শান্তি বয়ে আনবে। আমি মাননীয় শ্রী নিতীন গড়কড়িজির অসামান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং যদি কখনও তাঁর সাথে দেখা করার এবং তাঁর আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগ পাই। আমরা সুন্দর বেলুচিস্তানে দুর্দান্ত সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য তাঁর কাছ থেকে আসা উজ্জ্বল ধারণাগুলি শুনতে এবং লিখে রাখতে আগ্রহী ।’।
https://twitter.com/miryar_baloch/status/1927076440014500172?t=tAiktxGdpf1-6BLEHQLYag&s=19

