এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,২৫ মে : কোচবিহার জেলার সিতাই ব্লকে এক রাজবংশী তরুনীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবক জাহাঙ্গীর মিঞার ছেলে বাপ্পা মিঞার বিরুদ্ধে । সিতাই থানায় নির্যাতিতার বাবার দায়ের করা অভিযোগপত্রটি এক্স-এ শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’নারী নির্যাতনে এগিয়ে বাংলা !
এবার কোচবিহার জেলার সিতাই ব্লক। যৌন নির্যাতনের শিকার দক্ষিণ কনাচাত্রা গ্রামের বাসিন্দা এক রাজবংশী সমাজের যুবতী। জানা যাচ্ছে যে অভিযুক্ত এলাকার জাহাঙ্গীর মিঞার পুত্র বাপ্পা মিঞা। এই ঘৃণ্য অপরাধের সহযোগি রেজাউল মিঞা ও তার স্ত্রী মর্জিনা বিবি। এনাদের সহযোগিতায়, এনাদের বসত বাড়ির মধ্যে এই ধর্ষণের মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। অথচ পুলিশ কিনা অভিযুক্তের বাড়ি পাহারা দিতে ব্যস্ত! এদিকে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত FIR রুজু করা হয়েছে কিনা ঠিক নেই।’
তিনি লিখেছেন,’এমন মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা জানার পর আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি? যেখানে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ কিংবা দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব লেগেই চলেছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা সমাজের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এই কঠিন সময়ে আমি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। আমি শুনেছি যে অভিযুক্ত ছেলেটি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, কিন্তু ছেলের বিরুদ্ধে কোন FIR দায়ের করা হয়েছে কিনা পরিষ্কার নয়। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য কোনরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়নি।
আমি কোচবিহার জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি অবিলম্বে অপরাধীদের সনাক্ত করে কঠিন ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যাতে এমন জঘন্য অপরাধ অন্য কেউ করতে সাহস না করে।প্রত্যেক নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা আমাদের যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতেই হবে।’
অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমার বড় মেয়েকে আনুমানিক বিকেল ৫:৪০ নাগাদ বাড়িতে না পেয়ে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করি । এমতবস্থায় আমার ছেলে ও আমার ভাতিজা দৌড়ে এসে আতঙ্কিত অবস্থায় বলে দিদি দক্ষিণ কনাচাত্রার বাসিন্দা রেজাউল মিঞা, বাবা আবদুল্লা মিঞার বাড়িতে আছে । তৎক্ষণাৎ আমি এবং আমার স্ত্রী সহ কয়েকজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে দেখতে পাই আমার মেয়ে বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে । তারপর আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসার পর তার জ্ঞান ফিরলে বলে ‘রেজাউল মিঞার স্ত্রী মর্জিনা বিবির সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেছে বাপ্পা মিঞা। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আরো বলে যে এর আগেও বাপ্পা মিঞা তাকে প্রাণ নাসের হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছে । খুন হয়ে যার ভয়ে সে বাড়ির লোককে এ কথা বলতে পারেনি ।’
এই মামলায় আসামী করা হয়েছে বাপ্পা মিঞা ও মর্জিনা বিবিকে । শুভেন্দু অধিকারীর শেয়ার করা অভিযোগপত্র অনুযায়ী সেটি শনিবার (২৪ মে) সিতাই থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু অভিযোগপত্র ‘রিসিভ’ করা হয়েছে আজ রবিবার(২৫ মে ২০২৫) । যদিও এই বিষয়ে আসামিপক্ষ এবং পুলিশের তরফে কোন মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি ।।

