এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৫ মে : ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার একটি স্পষ্ট এবং গম্ভীর মূল্যায়ন উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন,’ভারতের শক্তিশালী হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই’ । ভাগবত এমন এক সময়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন যখন সংঘ তার শতবর্ষ পূর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফলভাবে অপারেশন সিঁদূর পরিচালনা করছে। ‘অর্গানাইজার’ ম্যাগাজিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভাগবত বলেন,’আমরা বিশ্ব বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য শক্তিশালী হতে চাই না, বরং আমরা চাই সবাই শান্তিপূর্ণ, সুস্থ এবং ক্ষমতায়িত জীবনযাপন করুক। আমাদের সীমান্তের ভেতরে অশুভ শক্তি সক্রিয় । তাই আমাদের শক্তিশালী হতে হবে ।’
ভাগবত জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা কেবল সরকার বা সেনাবাহিনীর কাজ নয়, এটি সমাজ থেকেই শুরু হয়। তোমাকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। অন্যদের জন্য অপেক্ষা করো না। যখন হিন্দুরা শক্তিশালী হয়, তখন বিশ্ব তাদের গুরুত্ব সহকারে নেয় ।’ তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন।
মোহন ভাগবত মনে করেন যে জাতীয় নিরাপত্তা কেবল সীমান্ত বা ব্যারাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। জাতিগত সম্প্রীতি, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্বও নিরাপত্তার উপাদান। তিনি প্রশ্ন তোলেন কিভাবে একটি বিভক্ত সমাজ নিজেকে রক্ষা করতে পারে ? ভাগবত বলেন,’বিশ্বব্যাপী অজেয় হয়ে ওঠার শক্তি আমাদের অর্জন করতে হবে। প্রকৃত শক্তি হলো অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। কোন শক্তিই, এমনকি অনেক দেশের সম্মিলিত শক্তিও আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু আমরা প্রস্তুত থাকব যাতে কোনও যুদ্ধ না হয়।’
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন যে, এখন তারা পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে লড়াই করতে প্রস্তুত। এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নজিরবিহীন। এখন স্থানীয় হিন্দুরাও বলছে যে আমরা পালিয়ে যাব না, আমরা আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করব। এটিই লক্ষ্য। হিন্দুরা যেখানেই থাকুক না কেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে আমরা তাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব ।’।

