এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১১ মে : অভিনেতা সালমান খান বর্তমানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার পর ১০ মে সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। ভারত এই যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে এবং দেশের অনেক মানুষ এবং তারকারা এর প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। শনিবার সালমান খানও এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করেছেন, “যুদ্ধবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ…”।
তবে, কয়েক ঘন্টা পরেই, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এবং কাশ্মীরে ড্রোন হামলা চালায়। বেগতিক বুঝে সালমান তার যুদ্ধবিরতি পোস্টটি মুছে ফেলেন। অনেক ব্যবহারকারী তার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ট্রোল করছেন। ব্যবহারকারীরা বলছেন যে তার পাকিস্তানি আক্রমণের সমালোচনা করে টুইট করা উচিত ছিল, কিন্তু তিনি কেবল যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে টুইট করেছিলেন এবং তারপরে সেটিও মুছে দিয়েছেন ।
একজন ব্যবহারকারী টুইট করেছেন,’তথাকথিত ভাই, মানুষ হও । গত চার দিন ধরে, তিনি কেবল যুদ্ধবিরতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এখন তিনি জানেন তার চলচ্চিত্রগুলি নিয়ে কী করতে হবে।’ আর একজন লিখেছেন,’সালমান খান মেরুদণ্ডহীন। অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে কিছু বলেননি। তারপর যুদ্ধবিরতির কথা লিখেছিলেন এবং সেটাও মুছে ফেলেছিলেন। ভাই, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।’ এর সাথে সাথে, সালমান আদপেই কি এমন কোনও পোস্ট করেছেন, নাকি পুরোটাই ভুয়া এবং কেউ একটি সম্পাদিত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, তা নিয়েও কিছু জল্পনা চলছে। কিছু ভক্ত এই পোস্টের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তবে, এটি লক্ষণীয় যে সালমান খান ইতিমধ্যেই ২৩শে এপ্রিল সংঘটিত পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সমালোচনা করে একটি পোস্ট করেছিলেন। প্রসঙ্গত,
সালমান খান বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন। তার শেষ পোস্টটি দেখা গিয়েছিল ২৮শে এপ্রিল, যেখানে তিনি তার কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন। এর আগে, ২৩শে এপ্রিল, অভিনেতা পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সমালোচনা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘পৃথিবীর স্বর্গ, কাশ্মীর নরকে পরিণত হচ্ছে।’ নিরীহ মানুষদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। একজন নিরপরাধ মানুষকেও হত্যা করা সমগ্র বিশ্বকে হত্যা করার সমান।।

