এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,১০ মে : বাগডোগরার অদূরে ব্যাংডুবি সেনা ছাউনির কিছুটা দূরে ঘোরাঘুরি করা বছর ৫০ বয়স্ক এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ সেনা ছাউনির কাছেই রয়েছে একটি গ্রাম নাম এমএম তরাই,সেখানেই সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল ওই ব্যক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ওই বাংলাদেশির সেনা ছাউনির কাছে ঘোরাঘুরির ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে । ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে তার নাম আশরাফুল আলম (৫০) । বাড়ি বাংলাদেশের রংপুরের বাঁদরগঞ্জ থানায়। ধৃত ব্যক্তি জেরায় বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। নিজেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছে আশরাফুল।
বাগডোগরার অদূরেই রয়েছে ব্যাংডুবি সেনা ছাউনি। এখানে রয়েছে সিক্সটিন এফওডি ও ফাইভ এফওডি-র মতো অস্ত্র এবং গোলা বারুদের ডিপো । ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কয়েকদিন থেকেই বাগডোগরা বায়ুসেনা ঘাঁটি, বাগডোগরা বিমানবন্দর, ব্যাংডুবি সেনা ছাউনি, সুকনা সেনা ছাউনি সহ সমস্ত সামরিক ঘাঁটিগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দফায় দফায় বৈঠক চলছে। চার দিকের গ্রামের বাসিন্দা ও জন প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে বাইরের সন্দেহজনক লোকজন দেখা মাত্র পুলিশ অথবা সামরিক বিভাগকে জানাতে। শুক্রবার দুপুরে এই বাংলাদেশী নাগরিক ব্যাংডুবি সেনা ছাউনির ফাইভ এফওডি অর্থাৎ ফিল্ড অ্যামুনিশন ডিপোর চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এরই মধ্যে পাশের গ্রাম এমএম তরাইয়ে গিয়ে জল চাইতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে সেনা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশের জেরায় ওই বাংলাদেশি জানিয়েছে,কাজের খোঁজে সীমান্তে এলে মাঝিরা তাকে নদী পার করে দেয় । তারপরই সে ভারতে ঢুকে পরে। তবে কোন সীমান্ত দিয়ে সে ভারতে ঢুকেছে সে সম্পর্কে কিছু বলছে না । এতদিন কোথায় ছিল তাও জানাতে পারেনি সে । হাঁটতে হাঁটতেই ব্যাংডুবিতে চলে এসেছে বলে দাবি করেছে আশরাফুল। জেরায় সে জানায়, ময়নামতির গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করত ওই ব্যক্তি। বাড়িতে ৫ সন্তান রয়েছে। তবে স্ত্রী নেই। সেনাবাহিনীর তরফে বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ধৃত বাংলাদেশিকে ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে পুলিশ ।।

