এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেলেঙ্গানা,১০ মে : সীমান্তে পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যে, ভারত অভ্যন্তরীণভাবেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) তেলেঙ্গানা এবং ছত্তিশগড় সীমান্তে বামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাওবাদীরা একটি বড় আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে তিনজন গ্রেহাউন্ড কমান্ডো শহীদ হন। এই আক্রমণটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের (আইইডি বিস্ফোরণ) মাধ্যমে করা হয়েছিল। বিস্ফোরণে একজন রিজার্ভ সাব-ইন্সপেক্টর (আরএসআই)ও আহত হয়েছেন এবং তাকে হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুলুগু জেলার ভাজিদু-পেরুর বনাঞ্চলে বীরভদ্রাবরাম-তাদাপাল পাহাড়ের কাছে ঘটেছে । জানা গেছে,হনমকোন্ডার ওয়ারাঙ্গল পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল । যখন দলটি মাওবাদীদের পুঁতে রাখা বোমাগুলি অনুসন্ধান এবং অপসারণ করছিল, তখন প্রায় ৩৫-৪০ জন মাওবাদী সন্ত্রাসবাদী, যারা ইতিমধ্যেই লুকিয়ে ছিল, দূর থেকে আইইডিগুলির বিস্ফোরণ ঘটায়। মাওবাদীদের পক্ষ থেকেও গুলি চালানো হয়েছিল। হামলাকারীদের মধ্যে মহিলারাও ছিল । পুলিশের পাল্টা গুলিবর্ষণের পর মাওবাদীরা পালিয়ে যায়। এই হামলায় শহীদ তিন গ্রেহাউন্ডস কমান্ডো হলেন ভি শ্রীধর, এন পবন কল্যাণ এবং টি সন্দীপ। ২০২৫ সালে এই প্রথম মাওবাদীদের হাতে তেলেঙ্গানা পুলিশের এত বড় ক্ষতি হলো।
তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিজিপি ডঃ জিতেন্দ্র বলেন যে সম্প্রতি মাওবাদীরা বনে বোমা রাখার সতর্ক করেছিল এবং মানুষকে সেখানে না যেতে বলেছিল। এর পরেই গ্রেহাউন্ডস এবং স্থানীয় পুলিশ দল এলাকাটি অনুসন্ধান শুরু করে।
গ্রেহাউন্ড কি?
অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশে, ১৯৮৯ সালে আইপিএস অফিসার কেএস ব্যাস গ্রেহাউন্ডস ফোর্স গঠন করেছিলেন। এটি একটি বিশেষ কমান্ডো ইউনিট, যার লক্ষ্য মাওবাদী কার্যকলাপ দমন করা। এই কমান্ডোদের বন এবং দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গ্রেহাউন্ডরা অনেক বড় মাওবাদী তৎপরতা নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাদের উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ ঘটে ২০০৮ সালে, যখন ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্তে মাওবাদীরা ৩৭ জন সৈন্যকে হত্যা করে ।।

