প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৭ মে : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয়েছে ভারতীয় সেনাারা। “অপারেশন সিঁদুরের“ মাধ্যমে ভারতের সেনারা এভাবে বদলা নেওয়ায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান লাভকরা বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের কাছে নিজের সাফল্য নিয়ে দু’চার কথা বলেই ভারতীয় সেনাদের প্রশংসায় মুখর হয়। রুপায়ন জানায়,ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাতটা দিয়েছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়।প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রীও এদিন ভারতীয় সেনাদের প্রশংসায় মুখর হয়।
রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামে।তবে বর্তমানে তাঁরা বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলা এলাকার বাড়িতে থাকে। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জেলার জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকবো,এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে,তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের ।

পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ।উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করে গিয়েছে বলে রুপায়ন জানিয়েছে। কৃতী এই ছাত্র ভবিষ্যৎতে বড় ডাক্তার হতে চায় । তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন। তাঁর কথায় ,দেশে এখনও ভাল ডাক্তারের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া ডাক্তার হলে সরাসরি মানুষের সংস্পর্সে আসবো, তা সেবা করতে পারবো।
তবে শুধু রুপায়ন পাল’ই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতেও পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল । তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের সেরা নির্বাচিত হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের(JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তন স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)। কৃতী এই সব ছাত্র ছাত্রীদের কেউ হতে চায় ডাক্তার কেউ হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার ।।

