প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ মে : দাঁড়িপাল্লায় ওজন করার লোহার বাটখাড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে ধান ব্যবসায়ীকে রবীন্দ্রনাথ রায় (৬২) কে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হল এক যুবক।ধৃতের নাম অমিত মাঝি।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মুরুলিয়া গ্রামে।খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ শুক্রবার ধৃত অমিথ মাঝিকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে।বিচারক তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিনই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল মর্গে হয় নিহত ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছে নিহতের পরিবার ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ,রবীন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি মঙ্গলকোটের মুরুলিয়া গ্রামে। তিনি
ধান কেনা বেচার ব্যবসা করতেন। একই এলাকায় বাড়ি যুবক অমিত মাঝির । এলাকাবাসীর কথা অনুযায়ী,রবীন্দ্রনাথ রায় ভাল মানুষ হিসাবেই এলাকার পরিচিত ছিলেন। গ্রামের সকল চাষির কাছ থেকেই তিনি ধান ক্রয় করতেন। ধূমপানের জন্য বিড়ি কিনতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথবাবু গ্রামের একটি দোকানে গিয়েছিলেন। গ্রামের যুবক অমিত মাঝি ওই সময় ওই দোকানের কাছে পিঠেই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী ,রবীন্দ্রনাথবাবু যখন দোকান থেকে বিড়ি কিনছিলেন তখন হঠাৎই পাশের একটি দোকান থেকে লোহার ৫ কেজি ওজনের একটি বাটখাড়া তুলে নেয় অমিত। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অমিত ওই ভারী বাটখারা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ রায়ের মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে।ঘটনাস্থলে রবীন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু হয় ।
এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে রাতেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অমিত মাঝিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।পরে নিহতের পরিবাররের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিত মাঝিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত অমিত মাঝির মায়ের দাবি ধান কিনতে এসে রবীন্দ্রনাথ রায় খারাপ ব্যবহার করতো। যদিও গ্রামবাসীরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। গ্রামবাসীদের অনেকেই জানান,রবীন্দ্রনাথ রায় খুবই ভালো মানুষ ছিলেন । তবুও কেন তাঁকে এভাবে খুন হতে হল সেটা এলাকার কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।অমিত মাঝিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ ।।