এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২৮ এপ্রিল : ভারত- নেপাল সীমান্তে নির্মিত অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সরকারি জমি দখল করে নির্মিত ৮০টিরও বেশি মাদ্রাসাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি যোগী সরকার এক ডজনেরও বেশি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছে । সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই পদক্ষেপটি ২৫ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে নেপালের সীমান্তবর্তী বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, বলরামপুর এবং লখিমপুর খেরি জেলায় নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত মসজিদও চিহ্নিত করা হয়েছে।
শ্রাবস্তী জেলায় কোনও অনুমতি ছাড়াই চলমান ১৭টি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছে যোগী সরকার। নেপাল সীমান্তবর্তী যমুনাহা এবং ভিঙ্গা তহসিলে এই মাদ্রাসাগুলি পরিচালিত হচ্ছিল। এই মাদ্রাসাগুলি পরিচালনাকারী মুসলিমরা কোনও বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি । যেকারণে প্রশাসন সেগুলিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে । অন্যদিকে বাহরাইচ জেলায়, নেপাল সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকায় করা ৮৯টি জবরদখল অপসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি প্রথমে অপসারণ করা হয়েছিল এবং ২৬টি পরে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। বাহরাইচে আরও এই ধরনের নির্মাণ চিহ্নিত করা হচ্ছে, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এছাড়াও, নেপালের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া সিদ্ধার্থনগর জেলার পাঁচটি স্থানে মসজিদ ও মাদ্রাসার অবৈধ দখলের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাজগঞ্জ জেলায় ১৯টি অবৈধ দখলদারিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং সেগুলি খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলার সীমানাও নেপালকে স্পর্শ করে। এখানেও ৬৭টি অবৈধ দখল অপসারণের কার্যক্রম চলছে। প্রশাসনের ভয়ে অনেকেই নিজেরাই তাদের দখল সরিয়ে নিচ্ছেন। লখিমপুর খেরি জেলায় অবৈধ নামাজের স্থানগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লখিমপুর খেরি-র পালিয়া তহসিলের একটি জায়গায় অবৈধভাবে নামাজ পড়া হচ্ছিল, সেখানে একটি মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা ছিল। প্রশাসন এটি খালি করে দিয়েছে। লখিমপুর খেরিতে আরও এমন জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেখানে অবৈধ দখল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,নেপালের সাথে উত্তর প্রদেশের সীমান্তে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের জন্য জনবিন্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে গেছে । আর প্রতিবছর ব্যাপক ভাবে মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মান করা হচ্ছে । শুধুমাত্র বলরামপুর জেলায় নেপাল সীমান্তে ১০৮টি মাদ্রাসা এবং ১৫০টি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল । এই সমস্ত নির্মাণের জন্য ইসলামি রাষ্ট্রগুলি থেকে হাওলার মাধ্যমে টাকা এসেছিল। মন্দিরের জমি দখলের বিষয়টিও অনেক জায়গায় প্রকাশ্যে এসেছিল। এর পরে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সীমান্তবর্তী এলাকায়ও পদক্ষেপ নেয় । যে অভিযান লাগাতার চলছে ।।

