এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৭ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ভুয়া সংশাপত্র তৈরি চক্রের এক পান্ডা । ভাতার থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে শেখ হাসনত জামান ওরফে কচি শেখ নামে সনাক্ত করেছে পুলিশ ৷ শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে পাকড়াও করে আজ রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয় । ধৃতকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ এই চক্রের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করতে ধৃতকে জেরা করছে পুলিশ ।
জানা গেছে,ভাতার থানার বলগোনা বাজারে একটি অনলাইন সেন্টার রয়েছে ধৃত শেখ হাসনত জামানের । ভাতার থানা থেকে ৮-৯ কিলোমিটার দূরে সেই অনলাইন সেন্টার থেকেই হাসনত বহাল তবিয়তে ভুয়া সংশাপত্র তৈরির কাজ করে আসছিল বলে অভিযোগ । এর আগে এই মামলায় শনিবার সকালে ভাতার থানার এড়াচিয়া গ্রামের এক মহিলা গ্রেফতার হলে বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ।
পুলিশ সূত্রে খবর,হজযাত্রার প্রয়োজনে গত মার্চ মাসে এড়াচিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা ও তার স্বামী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন । কিন্তু ডিআইবি (ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) দম্পতির নথিপত্র খতিয়ে দেখার সময় জানতে পারে যে মহিলার দাখিল করা জন্ম সংশাপত্রটি জাল । যেকারণে শনিবার সকালে মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে ওই জাল সংশাপত্রটি শেখ হাসনত জামান তৈরি করে দিয়েছিল । যদিও মহিলার দাবি, বিষয়টি তার অজ্ঞাতসারেই হয়েছে । অবশ্য শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক ।
জানা গেছে,মহিলার কাছ থেকে শেখ হাসনত জামানের নাম সামনে আসার পর পাটনা গ্রামে তার বাড়িতে হানা দেয় ভাতার থানার পুলিশ । জেরা করতেই নিজের এই বেআইনি কর্মকাণ্ডের কথা কবুল করে শেখ হাসনত । তবে শুধু এড়াচিয়া গ্রামের ওই মহিলাই নয়, সে টাকার বিনিময়ে আরও বহু মানুষের জাল সংশাপত্র তৈরি করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । সেই সমস্ত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে পুলিশ এখন ধৃত শেখ হাসনত জামানকে জেরা শুরু করেছে ।।