কাশ্মীরের পহেলগামে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ হিন্দুর প্রাণহানি ঘটে । হিন্দু পরিচয় নিশ্চিত করতে কলমা পড়ানো হয়,প্যান্ট খুলে খতনা পরীক্ষা করা হয় । অর্থাৎ, এটা ছিল পাকিস্তানি ও কাশ্মীরি ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের পরিকল্পিত হিন্দু নরসংহার । কিন্তু ‘হিন্দু নরসংহার’ কথাটি কিছুতেই মানতে চাইছে না কংগ্রেস,কমিউনিস্ট, তৃণমূল কংগ্রেস,সমাজবাদী পার্টির মত ভন্ড ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা । পহেলগামের ‘হিন্দু নরসংহার’ প্রচারকে নস্যাৎ করতে এই কথিত সেকুলার বাস্তুতন্ত্র ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে । একদল বামপন্থী মহিলা কাশ্মীরে গিয়ে খুব আমোদ প্রমোদ ও খাওয়া দাওয়া করে কাশ্মীরি মুসলিমদের আতিথেয়তার ঢালাও প্রশংসা করতে শুরু করেছে । কিন্তু এত মিথ্যা প্রচার সত্ত্বেও কেউ কাশ্মীর ভ্রমণ করতে চাইছে না বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স ।
পাশাপাশি ওই বাস্তুতন্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় একমাত্র মৃত মুসলিম ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ও ঘোড়ার মালিকদের ‘প্রাণ হাতে করে পর্যটকদের জীবন বাঁচানোর’ মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে৷ কিন্তু কাশ্মীরি মুসলিম ঘোড়াবালাদের আসল স্বরূপ ফাঁস করে দিয়েছেন বেঁচে যাওয়া একজন পর্যটক । উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের আইনজীবী কল্পনা শ্রীবাস্তব ওই পর্যটকের বক্তব্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন । তিনি এক্স-এ লিখেছেন,
“দেখো ভাই ও বোনেরা, এটাই কাশ্মীরিয়তের আসল সত্য! পহেলগামে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ হিন্দুর প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে আমাদের ভাই ও বোনেরা, বিদেশী পর্যটকও ছিলেন। কিন্তু শোনো, সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া মিহির সোনি তোমাদের যা বলেছে, তা তোমাদের মেরুদণ্ড ঠান্ডা করে দেবে!”
আক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই, কাশ্মীরি বলে ভান করা ঘোড়সওয়াররা তাদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। আর যখন আমাদের লোকেরা তাদের জীবন বাঁচিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়, তখন এই একই ঘোড়ার মালিকরা ৪০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০০ টাকা চেয়েছিল! তারা বলেছিল, ‘আমাকে টাকা দাও, নাহলে প্রাণ হারাবে!’ এই, এটা কি তোমার কাশ্মীরিয়াত? এটা কি তোমার মানবতার মুখ?
তিনি আরও লিখেছেন,কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা করার সময় এই মানবতা কোথায় মারা গিয়েছিল? ‘রালিভ, গালিভ, চালিভ’ স্লোগানটি কে দিয়েছিলেন? আজ এই লোকেরা আক্রমণের জন্য চোখের জল ফেলছে, কিন্তু তাদের কান্নার মধ্যে কোন সত্যতা নেই, এটা একটা নাটক! ভাইয়েরা, আমাদের চোখ খুলতে হবে। এই সেই কাশ্মীর যেখানে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। আর এখন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর, পাকিস্তান চিৎকার করছে যে এটি ‘যুদ্ধ ঘোষণা’। আরে, তুমি আক্রমণগুলো করে দাও, আর আমরা চুপ করে থাকি? না! এখন ভারত জেগে উঠেছে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা হবে এবং এর সহযোগীদেরও উন্মোচিত করা হবে। জয় হিন্দ! ভারতের জয়!”
উল্লেখ্য,কাশ্মীরের পহেলগামে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলার পর ৯০ শতাংশের অধিক পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ বাতিল করে দিয়েছে । তারা বিকল্প হিসাবে উত্তর-পূর্ব ভারতকে বেছে নিয়েছেন । এতে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের রুটি রুজিতে টান পড়েছে । বেগতিক বুঝে তারা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদের নামে মোমবাতি মিছিল ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়ানোর জোরদার প্রয়াস করছে । কিন্তু মোমবাতি মিছিলে তাদের হাসিমুখ প্রশ্ন তুলে দেয় যে পহেলগামে হিন্দু নরসংহারে তারা আদপেই আঘাত পেয়েছে কিনা । কারন কাশ্মীরসহ গোটা ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের সিংহভাগ মানুষের পাকিস্তান প্রেম নতুন ঘটনা নয় । আর তাদের এই প্রেম আরও প্রকট হয় যখন পাকিস্তানেরই এই মন্ত্রী অরুন্ধতী রায়,মমতা ব্যানার্জি,রাহুল গান্ধী ও বামপন্থীদের ‘পাকিস্থানের প্রতি সহানুভূতিশীল’ বলে বর্ণনা করেন । যা ভারত এবং বিশেষ করে ভারতীয় হিন্দুদের জন্য ভয়ংকর প্রবণতা ।।

