কলেজ ক্যাম্পাসের করিডরে শুরু, ক্যানটিনের এক কাপ চায়ে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। দশ বছরের সম্পর্ক। কত টানাপোড়েন, তবুও সৌম্য ও সঞ্চারির ভালোবাসা একটুও কমেনি।
এখন একটি ছোট ছেলেকে নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে ছোট্ট একটি পরিবার – স্বপ্নের মতো সাজানো সংসার। সৌম্য এখন একটি কলেজের অধ্যাপক আর সঞ্চারী একটি হাই স্কুলের শিক্ষিকা।
বিয়ের পরে ওদের সংসারটা ছিল খুব সাধারণ কিন্তু পরিপূর্ণ। একটা ছোট্ট দু কামরার ভাড়া ফ্ল্যাট, বারান্দায় কিছু টবের গাছ, ছেলে—নীল, আর সন্ধ্যার পর দু’জনে মিলে রান্নাঘরে গল্প করতে করতে কাজ করা। জীবনের চাওয়াগুলো যেন একে অপরের চোখে খুঁজে পেত।
সঞ্চারী ছিল সংবেদনশীল, অন্তর্মুখী, ভেতরে ভেতরে খুব আবেগপ্রবণ। সে সৌম্য কে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসত। সব সময় বলত, “তুমি ছাড়া আমি ভাবতেই পারি না সৌম্য। তুমি না থাকলে, আমি বুঝি না নিজেকে কোথায় রাখব।”
সৌম্য একটু সহজ, সরল আপনমনা, স্বপ্নবিলাসী। কলেজে পড়ানো, আর অবসরে লেখা-লেখি। তার গল্পে চরিত্ররা জীবনের গভীরতম কষ্ট, প্রেম, ভাগ্য বিড়ম্বনা আর পুনর্জন্ম নিয়ে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে সে খুব সহজ, সাদাসিধে—ভালোবাসা জানে, কিন্তু বলতে পারে না সহজে।
সবকিছু ছিল ছিমছাম, সাধারণ সুখে-দুঃখে মেশানো জীবন। সৌম্য তার কাজ ও লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকত, কখনও রাত করে ফিরত কোনো সেমিনার, কখনও কোনো গবেষণার কাজ। সঞ্চারীও ব্যস্ত থাকত স্কুল আর সন্তানের দেখভালে। তবে একদিন হঠাৎ করেই সঞ্চারীর মনে সন্দেহের বীজ জন্মাল।
হঠাৎ করেই সব কিছু একটু একটু বদলে যেতে লাগল।
ক্রমশ…..