এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৫ এপ্রিল : কাশ্মীরের পহেলগামে ইসলামি সন্ত্রাসীদের হিন্দু নরসংহারের পর কাশ্মীরের মুসলিমদের প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে । যার প্রতিফলন দেখা গেছে হরিয়ানাতে । এদিকে নরসংহারের পর হিন্দু পর্যটকরা কাশ্মীর ভ্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছেন । তাদের আস্থা ফেরাতে কংগ্রেস ও বামপন্থীদের মহিলা টিম ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে৷ কয়েকজন বামপন্থী মহিলা ও পুরুষ ক্যাডার কাশ্মীরের পহেলগামের যে জায়গায় হিন্দু নরসংহার হয়েছিল সেখানে গিয়ে বর্তমান পরিবেশ খুব শান্তিপূর্ণ দেখানোর চেষ্টা করেছেন । একদল বামপন্থী মহিলা ক্যাডারকে হোটেলের ঘরে উল্লাস প্রকাশ করে কাশ্মীরকে শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেন । রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের একজন নেত্রী কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার মানুষদের ঢালাও প্রশংসা করে পর্যটকদের কাশ্মীরের প্রতি আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করেছেন । কিন্তু এত কিছু করেও কাশ্মীর সম্পর্কে হিন্দু পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে পারেনি কংগ্রেস ও বামপন্থী ক্যাডাররা ।
কিন্তু ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের (আইসিসি) বিমান পরিবহন ও পর্যটন কমিটি শুভাশ গোয়েল পহেলগামে নরসংহারের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন,’ ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য বাতিলকরণের অনুরোধ পেতে শুরু করেছি। পর্যটকরা বিকল্প হিসাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুনাচল প্রসেশ ও হিমাচলের কুলু মানালি, নৈনিতাল মতো বিকল্প স্থানগুলির জন্য অনুরোধ করছেন ।’ তিনি বলেন,’এতে কাশ্মীরের হাউসবোট মালিক, ফুল বিক্রেতা, ট্যক্সি মালিক ও রিক্সা চালকদের মতো দরিদ্র মানুষরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ।’ কাশ্মীরের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ।
এদিকে কাশ্মীরের হোটেলে একদল মহিলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নাদিম শেখ একজন এক্স ব্যবহারকারী । ওই মহিলারা নিজেদের মধ্যে উল্লাস করতে করতে এলাকাকে শান্তিপূর্ণ দেখানোর চেষ্টা করে । প্রতিক্রিয়ায় নাদিম শেখ লিখেছেন, ‘এই নীচ, দ্বিমুখী, নির্লজ্জ নারীদের ভাইরাল করে দিন যাতে তারা যে শহরেরই হোক না কেন, যেখানেই যান না কেন, মানুষ তাদের প্রশ্ন করে। তাদের প্রতিবেশীরা তাদের দেখলে অভিশাপ দিক, লেফটেন্যান্ট বিজয় নারওয়ালের চিতা এখনও ঠান্ডা হয়নি এবং ২৮ জন হিন্দুর চিতাও শুকায়নি। চার দিনেরও কম সময়ের মধ্যে বিবাহিত তিন হিন্দু মহিলা বিধবা হলেন । আর এই জঘন্য, নির্লজ্জ মহিলারা পহেলগামের হোটেলে মজা করছে এবং হাসছে এবং বলছে কাশ্মীরে এসে মজা করো, দেখো আমরা কতটা উপভোগ করছি, আমরা কতটা খুশি, কিছু ছোটখাটো ঘটনা ঘটতেই থাকে। আর সবাই উচ্চস্বরে হাসছে ।’
রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেত্রীর ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং লিখেছেন,’গতকাল থেকে যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতির অনেক উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তিনি ছিলেন একজন মহিলা কংগ্রেস কর্মী। যখন কংগ্রেস দেখল যে হিন্দুদের তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর হত্যা করা হচ্ছে, তখন তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কিছু মহিলা কর্মীকে সক্রিয় করে এবং তাদের ভিডিও আপলোড করে। আমি আবারও বলছি, এটি ছিল টিম সি-এর সবচেয়ে নিখুঁত উদাহরণ । টিম এ তার কাজ করেছে, অর্থাৎ, তারা একেবারে নিচু স্তরে হিন্দুদের হত্যা করেছে। টিম বি কিছু ভিডিও দেখাবে যেখানে আমরা তাদের বিনামূল্যে গাড়ি, বিনামূল্যে জল, বিনামূল্যে খাবার দিয়েছি। এরপর, টিম সি-এর লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি করবে এবং বলবে যে তাদের সাথে খুব ভালো আচরণ করা হয়েছে। কিন্তু এই সব মানুষ একটা নাটকের চরিত্র আর এই মহিলা কংগ্রেসের একজন নেত্রী।’।

