এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৪ এপ্রিল : মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে হিন্দু নরসংহার চালিয়েছিল ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীরা৷ পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই- তৈয়বার সহযোগী রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) পর্যটকদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় য। এই হামলায় মূলত হিন্দুদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল । মোট ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন । তাদের প্যান্ট খুলিয়ে খতনা পরীক্ষা করা হয় । কলমা পড়তে বলা হয় । কিন্তু হিন্দুরা কলমা পড়তে না পারলে সরাসরি মাথায় গুলি করে সন্ত্রাসীরা । সন্ত্রাসীদের নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করা একজন শিশু পর্যন্ত মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে বর্ণনা করেছে । কিন্তু এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা কিছুতেই মানতে চাইছে না যে হিন্দু হওয়ার অপরাধে সন্ত্রাসীরা নরসংহার চালিয়েছিল৷ খোদ মমতার কথায়, সন্ত্রাসীদের নাকি কোন ধর্ম হয় না । তার দলেরই এক সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা আবার পহেলগাঁয়ে হিন্দু নরসংহারের ঘটনায় “হিন্দু” শব্দ প্রয়োগে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন । যে কারণে তৃণমূলের এই সাংসদকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে । রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার নেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি তরুণজ্যোতি তেওয়ারি তৃণমূলের সাংসদকে ‘ভারতের শত্রু ও হিন্দু সমাজের উইপোকা’ তকমা দিয়েছেন । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শত্রুঘ্ন সিনহাকে বলেছেন ‘আতঙ্কবাদীদের প্রবক্তা’ ।
আসলে বুধবার রাতে সাংবাদিকরা আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে হিন্দু নরসংহার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান । তখন তিনি বলেন, ‘এ হিন্দু হিন্দু কি করছেন ? হিন্দু মুসলমান সব ভারতীয় ওখানে ৷ এই সমস্ত গদি মিডিয়া মাত্রাতিরিক্ত অপপ্রচার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে । আমার বন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফ থেকে এই অপপ্রচার ব্যাপকভাবে চলছে । আমি মনে করি এটা খুব সংবেদনশীল বিষয়৷ এটাকে খুব গভীরভাবে দেখা উচিত৷ এই ধরনের কথা এখন বলা উচিত নয় এবং এমন কিছু কাজ করা উচিত নয় যাতে উত্তেজনা বাড়ে ।’
তরুনজ্যোতি তিওয়ারি এই ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কাশ্মীরে টার্গেট করে হিন্দুদের মারা হয়েছে আর এটা বলা যাবে না? তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সত্যি ঘটনা লোকাতে কেন চাইছেন? ভোট ব্যাংকের রাজনীতি? এই লোকগুলোই হল ভারতের ভিতরের শত্রু।। এরা হলো সেই উইপোকা যারা দেশটাকে ভিতর থেকে আস্তে আস্তে শেষ করছে।’
শুভেন্দু অধিকারীও একই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মুশকিল হলো আতঙ্কবাদীরা বাইরে থেকে আসে, কিন্তু তাদের সমর্থক, সমব্যথী, সমানুভবী ও প্রবক্তারা আমাদের দেশের মধ্যেই বিচরণ করে। এদের প্রথম কাজ হলো কি ভাবে নৃশংসতাকে লঘু করে দেওয়া যায়। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, এদের যেনো কোনো দিন না বন্দুকের নলের সামনে পড়ে কলমা পড়তে বলা হয়, কারণ আমি চাই না যে এক মিনিটের জন্যে হলেও এদের উপলব্ধি হোক, কোন মূর্খের স্বর্গে এরা বাস করছিলো, এবং সামান্যতম অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ পাক। এরা সংশোধন, অনুতাপ ও অনুশোচনার যোগ্য নয় ।’।

