এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৯ আগস্ট : এক নার্সের কাছ থেকে টিকা নেওয়ার পর থেকেই সাড়ে চার মাসের শিশুসন্তানের পায়ে সংক্রমণ হয় ৷ তার জেরে অস্ত্রপচার পর্যন্ত করাতে হয়েছে । এই অভিযোগ তুলে ওই নার্সের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে নালিশ জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বালসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শিশুর বাবা-মা আকবর আলি ও মমতাজ খাতুন নামে এক দম্পতি । তাঁরা ওই নার্সের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ তুলেছেন । যদিও কোনও প্রকার গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গার্গি মুখোপাধ্যায় নামে ওই নার্স । ভাতারের বিডিও অরুন বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে ।
মমতাজ খাতুন জানান,তাঁর একমাত্র সন্তান আয়াত নূরের বয়স সাড়ে চারমাস । গত ২৭ জুলাই গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তার মেয়েকে টিকা দিয়েছিলেন ভাতার হাসপাতালের জনৈক এক নার্স । তার কিছুক্ষন পরেই মেয়ের পায়ের ছুঁচ ফোটানো জায়গাটা লাল হয়ে ফুলে যায় । মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল । কিন্তু চিকিৎসকরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন ।
আকবর আলি বলেন, ‘মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল । তাই হাসপাতালে ভর্তি না করে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মেয়েকে নিয়ে যাই । প্রাথমিক চিকিৎসার পর নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা জানান মেয়ের পায়ে অপারেশন করতে হবে । ৪ আগষ্ট মেয়ের অপারেশন হয় । যার ফলে অযথা হয়রানির পাশাতঅনেক খরচ খরচা হয়ে গেছে ।’
এদিন ভাতারের বিডিওর কাছে ওই নার্সের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে আসেন ওই দম্পতি । তাঁরা দাবি জানান, ওই নার্সের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করুক প্রশাসন । অন্যদিকে গার্গি মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘ইঞ্জেকশন দিতে কোনও ত্রুটি হয়নি । যেটা জানা যাচ্ছে ওই শিশুর পায়ের যেখানে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল ওই জায়গায় কোনও মলম কিনে লাগিয়েছিল শিশুর পরিবার । তা থেকেই সমস্যা হয়েছে বলে মনে হয় ।’।