এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২১ এপ্রিল : মুর্শিদাবাদের সামেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে সাম্প্রদায়িক হিংসায় বহু হিন্দু পরিবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছিল ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদী মুসলিম জনতা ৷ বহু পরিবার প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়া হয়ে যায় । অনেকে পার্শ্ববর্তী মালদা জেলার গ্রামের একটা স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নেয় । এনসিডবলুর একটা দল দু’দিন ধরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলে গত ১১ ও ১২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক হিংসার কাহিনী শোনেন । তারা দাঙ্গা কবলিত সামেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে গিয়ে পরিদর্শন করেন । পরে দলটি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হিংসার বিস্তারিত বিবরণ দেন এবং তাকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান ।
আর এতেই চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ । তিনি একটা ভিডিও বার্তায় এনসিডবলুকে “কুখ্যাত” বলার পাশাপাশি এনসিডবলু-এর সদস্যা ডঃ অর্চনা মজুমদারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন । সাগরিকা ঘোষের কথায়, এনসিডবলু ইন্ডিয়া একটা কুখ্যাত কমিশন বলে পরিচিত হবে হোয়াইট পেপারের জন্য । এনসিডবলু-কে শেষবার সন্দেশখালিতে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ভুয়া ধর্ষণের অভিযোগে মহিলাদের ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল, এখন তা মালদা/মুর্শিদাবাদে। সামনে আরও ফাঁকা কাগজ? অতিরিক্ত: এনসিডবলু সদস্য অর্চনা মজুমদার ২০২১ 2সালের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং হেরে গিয়েছিলেন। আমরা কি সত্যিই বিজেপি মহিলা শাখার কাছ থেকে একটি বস্তুনিষ্ঠ “প্রতিবেদন” আশা করি, দুঃখিত ।’
এদিকে সাগরিকা ঘোষের এই প্রকার দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অমানবিক মন্তব্যের জন্য তাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ডঃ অর্চনা মজুমদার । তিনি তৃণমূল সাংসদের ভিডিওটি ট্যাগ করে লিখেছেন,’ম্যাডাম সাগরিকা ঘোষ, দিল্লির একটি এসি রুম থেকে টুইট করে দাবি করা সহজ যে সবকিছু ঠিক আছে। বাংলার একজন সাংসদ হিসেবে, মানুষ আপনার কাছ থেকে ঠিক কী পেয়েছে? তাদের সঙ্কটের সময়, আপনি ৫-তারকায় মধ্যাহ্নভোজ করছেন এবং ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গল্প বলছেন। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি—একবার মুর্শিদাবাদে আসুন। সেখানকার মায়েদের যন্ত্রণা অনুভব করুন ।’
তিনি আরও লিখেছেন,’সরকারি তথ্য অনুসারে: ৩০০+ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে দাঙ্গায় ২ জন নিহত হয়েছেন। শ্বেতপত্র? আমরা সবাই জানি সাদা হল সুপ্রিমোর প্রিয় রঙ। সেই কারণেই আমরা পেয়েছি: রাজনৈতিক হত্যার কারণে সাদা কাগজে শিক্ষক, বিডিও, পুলিশ অফিসার এবং হাজার হাজার বিধবা সাদা শাড়ি পরেছেন। এখন মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায়, আরও ২ জন মা সাদা পোশাক পরেছেন—আপনাদের ব্যর্থতার জন্য। আমার রাজনৈতিক অতীত নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে, এই উত্তর দিন: পশ্চিমবঙ্গরাজ্য মহিলা কমিশন কেন নীরব? মুখ্যমন্ত্রী কোন কর্তৃত্বে বলেছিলেন, “তারা পরে আসবেন”? কমিশন কি এখন মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে? সদস্য মারিয়া ফার্নান্দেজ: এখন তৃণমূলের সংখ্যালঘু মোর্চার সহ-সভাপতি । সদস্য ডঃ উমা সোরেন: ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন ইপি, প্রায় সকল সদস্য এবং সিপিরই তৃণমূলের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্ক রয়েছে।’।