এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ এপ্রিল : বসত বাড়ি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসুদেবপুর সুভাষনগর এলাকার বাসিন্দা চার সদস্যের একটা হিন্দু পরিবারকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে৷ ৬ বছরের এক শিশুসহ পরিবারের চার সদস্যকে মারধর ও লুটপাট চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ পরিবারটি মাঠের ভুট্টাখেতে আত্মগোপন করে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচায় । ওই পরিবারের দম্পতি আজ সোমবার সকালে ভিডিও রেকর্ড করে সাহায্যের আর্তি জানালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । ভিডিওটি এক্স-এ শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতার লোভে মৌলবাদী তোষণে ব্যস্ত । তার এবং তার প্রশাসন বর্তমানে বধির হয়ে ব’সে আছে। হিন্দুদের আর্তনাদ তদের কান অবধি পৌঁছায় না৷’
২ মিনিটি ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে গৃহকর্তী অভিযোগ করেছেন যে একই গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান, সিদ্দিক মাস্টার,রসিদ,সাদ্দামসহ প্রায় ১০০ জনের একটা দল তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সোনার গহনা,টাকাপয়সা সব লুটপাট চালায়৷ এরপর তাদের মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে৷ তাদের ৬ বছরের শিশুপুত্রকে পর্যন্ত মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’রাজ্য সরকার আর তার প্রশাসন বর্তমানে বধির হয়ে ব’সে আছে। হিন্দুদের আর্তনাদ তদের কান অবধি পৌঁছায় না কারণ রাজ্যের শাসক দল আর তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার লোভে মৌলবাদী তোষণে ব্যস্ত।’ তিনি লিখেছেন,’উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসুদেবপুর সুভাষনগর এলাকায় বিধান মজুমদার ওনার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটির উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁদের বাড়িটি যাতে মুসলিমদের বিক্রি করে তাঁরা অন্যত্র চলে যান। বিধান বাবু চাপের কাছে নতি স্বীকার না করায় অবশেষে তার পরিবারটিকে রীতিমত ভয় দেখানো হচ্ছিল।’
তিনি বলেছেন,’ওই এলাকা থেকে আজ খবর পাওয়া যায় যে, আজ সকাল সাতটা নাগাদ হঠাৎই তার বাড়িতে এলাকার শাহজাহান, সিদ্দিক মাষ্টার, রশিদ, সাদ্দাম সহ বেশ কিছু দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে হামলা চালায়। ঘরদোর ভাঙচুর, সোনা, টাকা পয়সা, আসবাবপত্র সব লুঠ করা হয়। বিধান বাবু তার ছয় বছরের শিশু সন্তান সহ পরিবার সমেত প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছেড়ে দুরে একটি জমিতে আশ্রয় নেন।’
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে হিন্দুদের অবস্থা বাংলাদেশের মতো হয়ে উঠছে। পুলিশ, প্রশাসন রাজনৈতিক দলদাসত্বে ব্যস্ত ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হিন্দুদের আগামীদিনে নিজ ভূমে পরবাসী হওয়ার পথ ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে। আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি শ্রী রাজীব কুমার (আইপিএস), রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার (আইপিএস) ও উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক; শ্রী সুরেন্দ্র কুমার মিনা (আইএএস) কে অনুরোধ করবো এই খবরের সত্যতা যাচাই করে, প্রশাসনিক সাহায্যের মাধ্যমে উক্ত হিন্দু পরিবার কে নিজ বাস্তুতে পুনর্বাসিত করার ব্যবস্থা করে তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই পরিবারের সাথে আছে ও সব রকম সহযোগিতা করছে।’।