এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৭ এপ্রিল : চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। কিন্তু যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সকলেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য । ধৃতরা হল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল (২২), সদর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২), ছাত্রলীগ নেতা মীর মারুফ (২০), ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রহমান (২৪), ছাত্রলীগ নেতা মীর মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮), গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন (৫৪), মোশারফ হোসেন (৪৮) ও সঞ্জীব ঘোষ (৪০)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের আদালতে পাঠানো হলে সকলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ।
কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্রই নেই । আসলে, শেখ হাসিবার মুখাকৃতি বানানোর সন্দেহে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর রাতে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি আগুন ধরিয়ে দেয় ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি,বিএনপি ও হিযবুতের সন্ত্রাসীরা । ঢাকায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় শেখ হাসিনার মুখের আদলে ‘মোটিফ’ বানানো হয়। মনে করা হচ্ছে, মোটিফ তৈরির কাজে যুক্ত থাকার কারণে তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান বলেন,চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানবেন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ এ বিষয়ে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, তিনি কেবল বাঘের মোটিফটি তৈরি করেছিলেন। হাসিনার মোটিফ তিনি তৈরি করেননি। কিন্তু ৮ জন নিরীহ যুবককে বিনা দোষে জেলে পাঠানোয় বাংলাদেশের ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্য ও মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।।