এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ এপ্রিল : সিপিএমকে ‘দেশদ্রোহী বজ্জাত’ বলে আখ্যায়িত করলেন রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ । প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ন্যাক্কারজনক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সিপিএমকে৷ প্রথমত, ঘটনাটিকে রাজনৈতিক বলে চালানোর চেষ্টা করছে তারা৷ পাশাপাশি আক্রান্তদের ধর্ম পরিচয় প্রকাশ্যে না এনে এই সাম্প্রদায়িক হিংসার মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর ষড়যন্ত্র করছে সিপিএম । যে কারণে সিপিএমের এই প্রকার ভন্ডামীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ ।
তিনি বলেছেন,’দেশভাগকে সমর্থন করেছিল কমিউনিস্টরা। দেশভাগের পরও আজকে এই রাজ্যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়। একের পর এক হিন্দুর প্রাণ যাচ্ছে, কিন্তু সিপিএম রাজনীতি করতে ব্যস্ত। সিপিএমের একজন নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে না যে হিন্দুরা মারা গেছে। এই জন্য সিপিএমকে মানুষ ঝাড়ু মেরেছে। এরা এখন ভিখারির মতো ঘুরছে, কিন্তু দেশবিরোধীতার অভ্যেস পাল্টায়নি। এরা হিন্দুদের বিরোধীতা করে এবং দেশ বিরোধীদের মদত দেয়। চাকরিহারাদের আন্দোলনেও রাজনীতি করেছে। আর এভাবেই মমতা ব্যানার্জিকে সিপিএম সাহায্য করে চলেছে । আজ যখন এরা সিপিএমকে তালাক দিয়েছে । ভিখারির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিন্তু অভ্যাস পাল্টায়নি । হিন্দুদের মারা হয়েছে এ কথা বলছে না, বলছে পার্টি সদস্যকে মারা হয়েছে৷ যার পার্টিই নাই তার সদস্য কি ? সোহরাওয়ার্দীর সময় ওরা সহযোগিতা করেছে৷ সব সময় হিন্দুদের বিরুদ্ধে এরা আছে । আজকেও হিন্দুদের যে কটা ভোট পায় এরা হিন্দুদের ভাবা উচিত যে দেশদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টি কে সাপোর্ট করবে কিনা ।’ তিনি আরো বলেন,’এখনো লোককে বিভ্রান্ত করছে । আরজি করের যে আন্দোলন সেটাকে ওরা বিভ্রান্ত করেছে । আজকের ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় ডান বাম লাল নীল রং করে ওরা আন্দোলনকে দুর্বল করে মমতাকে সাহায্য করছে৷ এই দেশদ্রোহীদের চিনে নিন ।’
আজ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে উত্তর কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় । ওই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল সিপিএমের ভন্ডামীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন তিনি । প্রসঙ্গত, গত ১৩ ই এপ্রিল সিপিএমের মুখপাত্র গণশক্তিতে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ ‘নিহতদের পরিবারের পাশে সিপিআইএম’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে মৃত ইজাজ আহমেদের নাম ও তার মায়ের ক্রন্দন রত ছবি পোস্ট করা হলেও নিহত হিন্দু পিতা পুত্রের না উল্লেখ করা হয়নি । যে কারণে সিপিএমের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে ।
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নৃত্য, গীতে একটা সুন্দর সকাল। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কর্তব্য আমাদের। এই সংস্কৃতি আজ বিপন্ন। মুর্শিদাবাদের যে কয়েক হাজার মানুষ ঘর ছাড়া তাঁদেরও আজ সকাল বেলা স্নান সেরে হালখাতা করার কথা ছিল, মন্দিরে পূজা দেওয়ার কথা ছিল, ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়া, চড়কের মেলায় যাওয়ার কথা ছিল। আর আজ তারা সর্বস্ব হারিয়ে রিলিফ ক্যাম্পে অনিশ্চিত, উৎকণ্ঠায় দিন গুনছে আর খিচুড়ি খাচ্ছে। বাংলায় এই ইসলামিক গুন্ডামী কদিন চলবে ?
আচ্ছা ওই ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে মন্দির ভাঙার , হিন্দু বাড়ি ভাঙার কি সম্পর্ক ? ববি হাকিমের পথে হেঁটে ওরা কি মুর্শিদাবাদের বাঙালী হিন্দুকে বলছে – ধর্ম পরিবর্তন না করা অব্দি লুটপাট/হত্যা চলতেই থাকবে ?’

