এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুসকরা,২৫ নভেম্বর ঃ পরিদর্শনে এসে গুসকরার এক ওষুধের দোকানের মালিকের কাছে ঘুষ আদায় করার অভিযোগে উঠল ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের এক পরিদর্শককের বিরুদ্ধে ।স্থানীয় লোকজন রতন মজুমদার নামে ওই আধিকারিককে আটকে রাখে । খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই আধিকারিককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । যদিও অভিযুক্ত আধিকারিকের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমানের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের ইন্সপেক্টর রতন মজুমদার বুধবার বিকেলে গুসকরার ওষুধের দোকানগুলি পরিদর্শনের জন্য আসেন ৷ কয়েকটি দোকান ঘোরার পর সন্ধ্যা নাগাদ তিনি গুসকরার শিরীষতলায় শেখ মহম্মদ ইউসুফের ওষুধের দোকানে যান । ওই দোকানদারের কাছ থেকেই ঘুষ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে রতনবাবুর বিরুদ্ধে ।
শেখ মহম্মদ ইউসুফের অভিযোগ,” আমার দোকানের ফার্মাসিস্ট লাইসেন্সের পরিবর্তন করানোর জন্য আমার কাছে উনি ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন । কিন্তু আমি কিছুটা কম করার জন্য অনুরোধ করি ৷ শেষে ৩০ হাজার টাকায় রফা হয় ।এদিন ১০ হাজার টাকা উনি নেওয়ার পর বাকি টাকা একসপ্তাহ পর নেওয়ার কথা ।’জানা গেছে টাকা নিয়ে ওই দোকান থেকে বাইরে আসতেই স্থানীয় লোকজন ওই আধিকারিককে আটকে রাখে । বেঙ্গল কেমিষ্ট আ্যান্ড ড্রাগিষ্ট আ্যসোশিয়েশনের গুসকরা জোনের সভাপতি ভবানী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ” ওই আধিকারিক গুসকরায় পরিদর্শন করতে এসে টাকার জন্য দোকানমালিকদের চাপ দিচ্ছে।বাধ্য হয়ে আমরা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিলাম।এদিন একটি দোকানে টাকা নেওয়ার সময় আমরা তাঁকে আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলি । তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য সংগঠনের তরফ থেকে পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে।”
যদিও অভিযুক্ত রতন মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘গুসকরায় কয়েকটি দোকান বিনা লাইসেন্সে চলছে।আমি কারও কাছে ঘুষ চাইনি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ।’
দেখুন ভিডিও