এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১২ এপ্রিল : মেয়ের বিয়ের পর বেয়াইয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিল মা । তারপর স্বামীকে তালাক দিয়ে বেয়াইকে নিকাহ করেন তিনি । এখন একই ঘরে স্বামীদের নিয়ে বসবাস করছেন মা-মেয়ে । বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেয়ের বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তার শ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। পরে তিনি নিজের স্বামীকে তালাক দিয়ে গোপনে মেয়ের শ্বশুরকে নিকাহ করেন। স্থানীয়দের কথায়, এই সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল ফোনের মাধ্যমে, যা ধীরে ধীরে শারিরীক সম্পর্কে গড়ায় । বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ওই নারী বলেন,আমি আগেই তালাক দিয়েছি। সবসময় আইনের কথা মেনে চলা সম্ভব হয় না, বাস্তবতা অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।’
এমন জটিল পরিস্থিতিতেও মেয়েটি মায়ের সিদ্ধান্তে আপত্তি করেনি। তার কথায়,মা এখন ভালো আছেন। আমি চাই না তিনি আবার পুরনো সংসারে ফিরে যান। যদি তিনি এখান থেকে চলে যান, তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন।
এদিকে এই ঘটনা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন সেই বাড়ির সামনে। গ্রামে একাধিক সালিশি বৈঠক হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। কেউ কেউ দাবি করেছেন, এসব সালিশে অর্থ লেনদেন হয়েছে, যদিও সংশ্লিষ্টরা তা অস্বীকার করেছেন। মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন,’আমার স্ত্রী বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি মেয়ের শ্বশুরকে নিকাহ করেছেন। এটা আমার জন্য চরম অপমান, আমি এর বিচার চাই।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,এই ঘটনায় সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক সম্পর্কের এমন ব্যতিক্রমী রূপ শুধু মূল্যবোধকেই আঘাত করে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্থিতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সমাজবিদদের মত,এ ধরনের ঘটনা পরিবার, সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য অশনিসঙ্কেত। বিষয়টি শুধু আইন নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।’ বাংলাদেশের কোন জায়গার ঘটনা তা জানানো হয়নি এবং মা মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি ।।
After daughter’s marriage, mother marries son-in-law, mother and daughter live in the same house with husband.