এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ এপ্রিল : নয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে ‘মহাসমাবেশের’ ডাক দিয়ে জামায়েত উলেমা হিন্দু । সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিপুল সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আজ কলকাতায় জড়ো হয়েছে । এই সমাবেশের কারণে মৌলালি মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ৷ যানচলাচল স্বব্ধ হাওড়া ব্রিজেও । ঘটনাটিকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসাবে বর্ণনা করে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর উস্কানির ফল’ ।
তিনি অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজের একটা ভিডিও ক্লিপিংস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কলকাতার বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। হাওড়া ব্রিজ এবং মৌলালির মতো শহরের প্রধান কেন্দ্রগুলি—যেগুলি শহরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধমনী—ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির প্রতিবাদের কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে, যা তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর উস্কানির ফল।’ তিনি আরও লিখেছেন,’যদিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অতীতে সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগে দ্বিধা করেনি, এখন পুলিশ হস্তক্ষেপে অনীহা প্রকাশ করছে—সম্ভবত তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক কৌশলের সাথে জড়িত রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশের কারণে।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পূর্বে বিতর্কিত দাবি করেছিলেন যে দক্ষিণ কলকাতা, রাজভবন এবং ধর্মতলার মতো এলাকাগুলি ওয়াক্ফের এখতিয়ারের অধীনে পড়ে।

এদিকে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং হুগলিতে ব্যাপক হিংসা এবং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের রক্ষা করতে বেশি মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে, সম্ভবত তার দলের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য। যদি ওয়াফের দাবিগুলি সত্যিই এতটা বৈধ হয়, তবে হয়তো মমতা এবং তার পরিবারের উচিত উদাহরণ স্থাপন করে তাদের নিজেদের সম্পত্তি—সমস্ত অপ্রকাশিত সম্পদ সহ—ওয়াক্ফ বোর্ডে স্বেচ্ছায় দান করা।’
প্রসঙ্গত,লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল । যদিও মুসলিম সংগঠনগুলি, কংগ্রেস, বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করছে । দুই হাউসেই তারা ভোটাভুটিতে বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে । এমনকি এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূলের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র ।।