এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৩ এপ্রিল : এসএসসির ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট । যে কারণে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হল । আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ পুরো প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। চাল এবং কাঁকর আলাদা করা যায়নি।প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরোনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন । তিনি এক্স-এ লিখেছেন,শিক্ষক নিয়োগের এই বিশাল দুর্নীতির সম্পূর্ণ দায় রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ কিছুক্ষণ আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনরায় একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে,মমতা ব্যানার্জির শাসনে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকদের মেধা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে! এই বিশাল দুর্নীতির সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে, আমি ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি। চাকরি চোর তৃণমূল কংগ্রেস আর চোরদের অভিভাবক হীরকরানী-কে আর কোনও ক্ষমা নয়!’
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। সব পক্ষের কথা শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতিরা। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হল। দীর্ঘ শুনানির পর গত বছর এপ্রিল মাসে এসএসসি দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেন বিচারপতিরা।দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল হয়। তবে মানবিক কারণে বহাল ছিল সোমা দাসের চাকরি। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও যান শীর্ষ আদালতে। শুনানি শুরু হয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে। চন্দ্রচূড় অবসর নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চেও এই মামলার একাধিক শুনানি হয়। এদিন মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হল। ফলে ২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভার ভোটের আগে চরম।বিপাকে পড়লেন মমতা ব্যানার্জি ।।

