এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,০৩ এপ্রিল : ‘বিদেশি’ সংস্থায় বিনিয়োগ করে অল্প দিনেই কোটি কোটি টাকা মুনাফার লোভ দেখানো হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে । সেই ফাঁদে পড়ে আড়াই কোটির অধিক টাকা একটা নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন অমিত কুমার কুন্ডু নামে ওই ব্যক্তি । কিন্তু পরে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বারুইপুর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন । অবশেষে অভিযোগ দায়েরের ৩ মাসের মধ্যে সেই টাকা উদ্ধার করে ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানালো পুলিশ ।
এই মামলা প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে,’বারুইপুরের বাসিন্দা অমিত কুমার কুন্ডু অলীক লাভের আশায় www.maunto.com নামে একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন । কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলেন, এক পয়সাও তুলতে পারছেন না। শেষে বারুইপুর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনিব৷ তদন্তের দায়িত্ব নেন সাব-ইনসপেক্টর শৌভিক ঘোষ। সুলুকসন্ধান করে দেখা যায়, বিনিয়োগ করা অর্থ প্রাথমিকভাবে ন’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়, যার পরে ধাপে ধাপে এই ন’টি অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ২৫টিরও বেশি অ্যাকাউন্টে চালান হয়ে যায়। এবং এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে ।’
বলা হয়েছে,তদন্তে জানা যায় যে গুজরাটের আমেদাবাদের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে পুরো জালিয়াতির পরিচালনা করা হয়েছে । ওই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তকারী দল আমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে আরও কয়েক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির ফলে চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং তাদের কার্যপদ্ধতি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে,মামলা রুজু হওয়ার মাত্র ৮৫ দিনের মধ্যে খোয়া যাওয়া পুরো টাকা, অর্থাৎ ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা, উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এবং তা অমিতবাবুর অ্যাকাউন্টে ঢুকেও গিয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের টাকা এত অল্প সময়ে উদ্ধার করার মতো সাফল্য কমই এসেছে সারা দেশে। প্রতারক দলটিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।।

