এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্তান,৩১ মার্চ : পাকিস্তানের পেশোয়ারে, ৫৬ বছর বয়সী হিন্দু পরিচ্ছন্নতা কর্মী নাদিম নাথকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায়, মুশতাক নামে একজন ইসলামী মৌলবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে নাদিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।খবর অনুযায়ী, শনিবার (২৯ মার্চ, ২০২৫) নাদিম পেশোয়ার পোস্টাল কলোনিতে তার কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন মুশতাক নামে এক ব্যক্তি তার উপর হামলা চালান। মাথায় গুলি লাগার সাথে সাথে নাদিম মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তার জীবন বাঁচানো যায়নি। চার সন্তানের বাবা নাদিমের দোষ ছিল শুধু যে তিনি তার ধর্ম ত্যাগ করেননি ।
নাদিমের ভাই সাগর নাথ এফআইআরে বলেছেন যে মুশতাক গত ২-৩ মাস ধরে নাদিমকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছিল । নাদিম প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু ইসলামী উগ্রতার সামনে তিনি কিছুই করতে পারেনি। সাগর বলেন,’মুশতাক আমার ভাইয়ের মাথায় গুলি করেছিল। সে আমাদের সতর্ক করত যে আমরা যদি ধর্মান্তরিত না হই, তাহলে সে আমাদের মেরে ফেলবে।’ পুলিশ দাবি করেছে যে ভানা মারি থানার এসএইচও আজমল হায়াতের দল ২৪ ঘন্টার মধ্যে চরসাদ্দা থেকে মুশতাককে গ্রেপ্তার করেছে। এসএইচও বলেন,’সে অপরাধ স্বীকার করেছে, তদন্ত চলছে।’
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানে ইসলামী উগ্রতা হিন্দুদের জন্য ঘাতক হয়ে উঠেছে । জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা আকছার ঘটছে । প্রতি বছর শত শত হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয় এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত ও মুসলিম ব্যক্তিকে নিকাহ করতে বাধ্য করা হয় । হিন্দুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ধ্বংস এবং জোরপূর্বক ইসলাম চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানি মুসলিম মৌলবাদীদের স্বাভাবিক প্রবণতা হয়ে গেছে । হিন্দু নির্যাতনে পুলিশের প্রচ্ছন্ন মদত থাকে । পাকিস্তানি আদালতের ভূমিকাও ন্যাক্কারজনক । অপহৃতা হিন্দু নাবালিকাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে অপহরণকারীর হাতেই তুলে দেয় আদালত ।।

