এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৫ মার্চ : বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ সদরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক নৈশ্যপ্রহরীকে আটক করে গনধোলাই দেওয়া হয়েছে । পরে গুরুতর অবস্থায় অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে (৬০) উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও জড়ো হয় ক্ষিপ্ত জনতা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠানে যায় মেয়েটি । সেই সময় নির্যাতিতার মুখ চেপে ধরে স্কুলের একটা ফাঁকা ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করদ স্কুলের নৈশপ্রহরী অভিযুক্ত আবুল হোসেন। এর কিছুক্ষণ পরে স্কুলে শিক্ষকরা এসে বিষয়টি টের পেয়ে নির্যাতিতাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে, রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে ওই স্কুল মাঠে আটক করে স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। পরে অভিযুক্তকে পগণপিটুনি দেন ক্ষিপ্ত জনতা । সরেজমিনে দেখা যায়, আজ দুপুরে চিকিৎসকেরা আহতকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। বেগতিক বুঝে ফের তাকে হাসপাতালের ভেতরে আনা হয় । পরে শত শত উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের গেটের সামনে ভিড় জমায় । নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য রোগীদের সরিয়ে নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছেন। সংকট সমাধানের জন্য স্থানীয় পক্ষের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।