এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ মার্চ : বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জির নির্বাচনী ক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে বুধবার বিজেপির প্রতিবাদ পদযাত্রা ও সভা ছিল । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি বিধায়কদের বরখাস্ত করার প্রতিবাদে হাতে কালো ব্যাচ পরে মিছিল ও সভা করার কথা ছিল বিজেপির । কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বারুইপুর ঢোকার মুখেই তৃণমূল কংগ্রেসের “জিহাদি গুন্ডা”দের হামলার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ । বাপ তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ । আর এই হামলার ঘটনাটি অভিষেক ব্যানার্জি, বিমান ব্যানার্জি,স্থানীয় পুলিশ সুপারের মস্তিষ্ক প্রসূত বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । তার অভিযোগ যে এই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসাবে স্থানীয় রোহিঙ্গা বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছিল ।
শুভেন্দু অধিকারী কয়েকজন ‘রোহিঙ্গা’কে চিহ্নিত করে আজ শুক্রবার কয়েকটা ছবি পোস্ট করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেল । পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘বারুইপুরে বিজেপির অনুষ্ঠান ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, পূর্বেই সমস্ত পূর্ব অনুমতি থাকা সত্ত্বেও, তোলাবাজ ‘ভাইপো’ ব্যানার্জি, স্থানীয় বিধায়ক বিমান ব্যানার্জি, গৌতম দাস এবং জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালির (আইপিএস) সাথে যোগসাজশে করেছিলেন। যাইহোক, এরাই তোলামুল এজেন্ট যারা রোহিঙ্গা সম্পদ এবং তোলামুল পার্টির সমর্থকদের একত্রিত করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন, যাদের বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল : মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হাবিবুর রহমান প্রধান, মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাজান আলী সরদার,বারুইপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাফফর আহমেদ ।’
সব শেষে তিনি লিখেছেন,’বারুইপুরের বাপন গাজী নামে একজন অভদ্র রোহিঙ্গা ব্যক্তির অশ্লীল হাতের ইশারাটা দেখুন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন মূল্যবান নেতা এবং তাঁর ইঙ্গিতটি তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে বাঙালি হিন্দুদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তার একটি ট্রেলার৷’
ঘটনার দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার অধ্যক্ষকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করে বলেছিলেন,’স্পিকারের আড়ালে এই বিমান ব্যানার্জি কতটা নিম্ন রুচির, নিম্ন সংস্কৃতির, শাহজাহানের মত গুন্ডায় পরিণত হয়েছে এটা বাংলার মানুষ আজকে নিজের চোখে দেখলেন ।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছিলেন,আমার গাড়ি অ্যাডিশনাল এসপি চিহ্নিত করে দেওয়ার পরে অন্তত কুড়ি পঁচিশ বার বাঁশ এবং বাটাম দিয়ে মারা হয়েছে । কাঁচ ভাঙেনি ঠিকই তবে গাড়ির বহু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে । বিধায়কদেরও আটকে রাখা হয়েছিল । বাসেও হামলা করা হয়েছে এবং আমরা পরিশেষে বারুইপুরে ঢুকতে পেরেছি । এই পরিস্থিতির কারণে পূর্ব নির্ধারিত বড় রুটে মিছিল করার পরিকল্পনা বাতিল করে মাত্র ৫০০ মিটার পদযাত্রা করতে বাধ্য হই ।’।