প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ মার্চ : বাংলা নববর্ষ বরণের প্রস্তুতির অন্যতম অঙ্গ হিসাবে মান্যতা পেয়েছে ’চৈত্র সেল’।এবছর বর্ধমানের চৈত্র সেলের বাজারে নানা বিকিকিনির মাঝে সেরা চমক হয়ে উঠেছে গোলাপ । চৈত্রে সেল উপলক্ষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাস এখন গোলাপ ময়। বেলা বাড়লেই প্রতিদিন কাঁড়িকাঁড়ি গোলাপ ফুল বোঝাই গাড়ি নিয়ে বিক্রেতারা পৌছে যাচ্ছেন গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের বিধান স্ট্যাচুর মোড়ে। সেখানে সেলের বাজারে মাত্র ৫০ টাকা ব্যায় করলেই মিলছে ৫০ পিস লাল গোলাপ।তারই টানে ভরা চৈত্রে ক্রেতার ভিড় উপচে পড়ছে গোলাপবাগে ।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে হোক কিংবা বাঙালির সেরা পুজো পার্বণ,গোলাপ ফুলের দাম তখন সোনার তুল্য হয়ে যায় ।কিন্তু এই চৈত্রে গোলাপ ফুলের দাম এত কম হওয়ার কি কারণ, তা ক্রেতারও বুঝে উঠতে পারছেন না । এই প্রসঙ্গে বিক্রেতা সনাতন মণ্ডল বলেন, “চৈত্র মাসে গোলাপের ফলন বেশি হয়। তাই আমরাও কম দামে লোলাপ ফুল পাই। কম দামে কেনা থাকে বলে বিক্রীও করি কম দামে। তাই চৈত্র সেলের বাজারে গোলাপ ফুলের সেলও হয় বাম্পার। গোটা চৈত্র মাস জুড়ে কম দামেই গলাপের বিক্রি বাটা চলবে গোলাপবাগে।
গোলাপবাগে গোলাপ ফেলের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতাদারের কথায় জানা যায় ,মূলত নদিয়া থেকে এখন গোলাপ আসছে বর্ধমানের বাজারে। প্রতিদিন গড়ে ৮ লক্ষ পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে স্কুল পড়ুয়া কিংবা পথ চলতি মানুষজন সকলেই লাল গোলাপ ফুল দেখে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বাড়ি যাওয়ার পথে তাঁরা ৫০ টাকায় নিয়ে যাচ্ছেন এক গোছা গোলাপ। গোলপাবাগ চত্ত্বরে গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে নিজস্বী তোলারও যথেষ্ট ধূম পড়ে গিয়েছে।বিষয়টা এমন যেন, গোলাপবাগে এখন নিত্য দিনই উদযাপিত হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন’স ডে।
গোলাপের এই জমজমাট ’চৈত্র সেল’ ফুল চাষিদের মুখেও হাসি ফুটিয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে তাঁদের উৎপাদন করা ফুল নষ্ট হওয়া থেকে যেমন রক্ষা পাচ্ছে তেমনই শহুরে মানুষ অত্যন্ত কম দামে তাজা লাল গোলাপ কেনার সাধও পূরণ করতে পারছেন। ক্রেতারা বলছেন,’চৈত্র সেলে’ খোদ গোলাপবাগ চত্ত্বর থেকে কেনা লাল গোলাপ ফুলের বাণ্ডিল হাতে নিয়ে নিজস্বী তোলার অনুভূতিটাই অনবদ্য ।।