এইদিন ওয়েবডেস্ক,মহারাষ্ট্র,২০ মার্চ : মহারাষ্ট্রের নাগপুর দাঙ্গায় হিন্দু দোকানগুলিকে বিশেষভাবে নিশানা করা হয়েছিল । আশেপাশে মুসলিমদের দোকান থাকলেও তার একটা কাঁচও ভাঙা হয়নি । কিন্তু হিন্দুদের দোকানগুলির ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে । মুসলিমদের এই দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ব্যবসায়ীরা এখন প্রশ্ন তুলছেন যে তারা কীভাবে একতরফা ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা সম্ভব ? ইতিমধ্যে, নাগপুরে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে । পাশাপাশি একটা চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে নাগপুরের হিন্দুরাও । একটা জমায়েতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । যে ভিডিওতে একজন প্রৌঢ়কে বলতে শোনা গেছে,’সবাই এটা শুনে নিন, আগামী দিনে ওই লোকেদের(মুসলিম) সাথে যদি কেউ বন্ধুত্ব করে তবে তার পাশে কেউ থাকবে না । ওদের সাথে যদি কেউ ব্যবসা করে, তবে তার পাশে কেউ থাকবে না ।’ এরপর উপস্থিত জনতাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনারা কি একমত?’ সবাই হাত তুলে সমস্বরে সহমত প্রকাশ করে । এরপর ওই প্রৌঢ় বলেন,’ওদের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব রেখে দাও তাহলে এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে । কেউ বন্ধুত্ব করবে না, কেউ ব্যবসা করবে না ওদের সাথে । আপনারা কি প্রস্তুত ?’ পাশ থেকে যুবকরা বলেন, ‘হ্যাঁ বাবুজি আমরা রাজি ।’
এরপর এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘ভাইয়েরা আমরা এখানে ৩৬ বিরাদরি জড়ো হয়েছি । আমরা মিলিত হয়ে এবং বয়স্কদের পরামর্শ নিয়ে আগামী ২৩ তারিখে মহাপঞ্চায়েতের ঘোষণা করছি । ওই দিন প্রত্যেক ভাই প্রচুরসংখ্যক দিল্লির গাজীপুর গ্রামে এসে জড়ো হবেন । আর সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্ট করবেন । আপনারা যদি ন্যায় বিচার চান তাহলে ২৩ তারিখে নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিন । এই এলাকা যেন পুরো ভর্তি হয়ে যায়,একমাত্র তবেই তোমরা ন্যায় বিচার পেতে পারো ।’
এদিকে নাগপুরের দাঙ্গার পর, পুলিশ এখন হিংসা ছড়ানো ব্যক্তিদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে । ইতিমধ্যে, পুলিশ হিংসার মূল পরিকল্পনাকারীর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ফাহিম খানকে নাগপুরে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার মূল পরিকল্পনাকারী বলা হচ্ছে। দাঙ্গার আগে ফাহিম খান একটি উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন । পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মুলত ফাহিমের সেই বক্তব্যের পর মুসলিম জনতা বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানে হামলা চালায় । ফাহিম খান সম্পর্কে এখন অনেক তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে যে ফাহিম খান ‘মাইনরিটি ডেমোক্রেটিক পার্টি’র সভাপতি। সে ২০২৪ সালে নাগপুর লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল । সে এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় । সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফাহিম খানই মুসলিম জনতাকে জড়ো করেছিল এবং তারপর একটি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিল । ফাহিম খান স্থানীয় থানার কাছে প্রায় ৫০০ জনকে ফোন করে ডেকে এনেছিল । ফাহিম খান নাগপুর শহরেরই সঞ্জয় নগর কলোনিতে থাকে ৷।

