এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,১৬ মার্চ : বাড়িতে একা থাকার সুযোগে জল পান করার অছিলায় গিয়ে বধূর মুখে সেলোটেপ ও হাতে-পায়ে দড়ি বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানা এলাকায় । সোমবার রাতে নির্যাতিতা এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । তবে এই প্রথম নয়, পেশায় ট্রাক্টর চালক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পথেঘাটে মেয়েদের কটূক্তি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের জামা ধরে টানার অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক । তা নাহলে ওই নরশুর হাত থেকে এলাকার মেয়েরা রেহাই পাবে না ।
জানা গেছে,ধৃত ব্যক্তি ও নির্যাতিতার বাড়ি একই গ্রামে । নির্যাতিতার পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে হয় । তারপর থেকেই সে নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে যাতায়ত করত । শনিবার সকালে বধূ বাড়িতে একাই ছিলেন । সেই সুযোগে জল পান করার অছিলায় বধূর বাড়িতে যায় ওই ব্যক্তি । বধূ সরল বিশ্বাসে তার জন্য জল আনতে গেলে সমু লেট নামে ওই ব্যক্তি জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে । বধূ যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য তার মুখে সেলোটেপ এঁটে দেয় । পাশাপাশি দড়ি দিয়ে দু’হাত ও পা বেঁধে ফেলে তার উপর নির্যাতন চালায় । পরে কোনো ভাবে মুখের সেলোটেপ খুলে বধূ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত চম্পট দেয় । এরপর রাতের দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বধূ রামপুরহাট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন । তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । আজ রবিবার বধূকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ।।