এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১৬ মার্চ : পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু কাতাল সিন্ধি খতম হয়েছে । আন্তর্জাতিক ঘোষিত সন্ত্রাসী ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী আবু কাতাল গত বছরের ৯ জুন জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসির শিব খোরি মন্দির থেকে ফেরা হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী বাসে হামলায় আবু কাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । হামলায় শিশু ও মহিলাসহ অনেক তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয় । আর এক কুখ্যাত ও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী পাকিস্তান সেনাবাহিনী সমর্থিত ২৬/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা হাফিজ সাঈদের সম্পর্কে ভাইপো ছিল আবু কাতাল ।
পাকিস্থানের জম্মু ও কাশ্মীরের কোটলি জেলায় লস্কর-ই-তৈয়বার খুরেতা লঞ্চ প্যাডের স্বঘোষিত কমান্ডার কাতাল সিন্ধি এই গোষ্ঠীর কার্যকলাপ সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । তার নেতৃত্বে, শিবিরটি লস্কর-ই-তৈয়বার অভিযানের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল, বিশেষ করে ভারতের রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা । জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ এবং ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসী সরাসরি জড়িত ছিল ।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ভাটিয়া ডুরিয়ান হামলাসহ এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় হামলার মূল চরিত্র ছিল কাতাল সিন্ধি। পুঞ্চের সুরানকোট থেকে নিসারকে গ্রেপ্তারের পর তার ভূমিকা আরও দৃঢ় হয়। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় কাতাল সিন্ধি পাকিস্তানে ফিরে আসে এবং লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে । লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডারদের অন্যতম হাফিজ সাঈদ সহ বরিষ্ঠ সন্ত্রাসীদের আস্থাভাজন ছিল ওই সন্ত্রাসী । কাতাল সিন্ধি কোটলিতে গুরুত্বপূর্ণ লস্কর-ই-তৈবার শিবির পরিচালনা করত এবং সরাসরি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত সাজিদ জুটকে রিপোর্ট করত ।।