এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১১ মার্চ : ভারতের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে উচ্চবর্ণ এবং নিম্নবর্ণের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের কোনো নজির ছিল না এতদিন । কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার গীধগ্রামের গীধেশ্বর মহাদেবের পুজোর অধিকার থেকে দাস পাড়াকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পশ্চিমবঙ্গের জাতপাতের ভেদাভেদের ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে । পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামের পুলিশ বাহিনী পর্যন্ত মোতায়েন করতে হয় । অবশেষে জাতপাতের বিভেদ ভুলে গীধেশ্বর মহাদেব সার্বজনীন হল । প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পূজা দেওয়ার অধিকার পেলেন দাস পাড়ার বাসিন্দারা । কাটোয়া মহকুমাশাসক অহিংসা জৈন বলেন, ‘গীধগ্রামে মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা মিটে গেছে। ওই গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দারাও অন্যান্যদের মতন পুজো দিতে পারবেন। বুধবার থেকেই তাঁরা পুজো দেবেন। সবাই এটা মেনে নিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, কাটোয়ার গীধগ্রামে গীধেশ্বর মহাদেব প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের প্রাচীন । বিগত শিবরাত্রির দু’তিন দিন আগে গীধগ্রামের দাসপাড়ার কয়েক জন বাসিন্দা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, গীধেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হয় না তাদের পাড়ার শতাধিক পরিবারকে । মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকতে গেলে গালিগালাজ করা হয় । তাঁরা যতবাত মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ততবারই বাধা দেওয়া হয়। অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন। কাটোয়ার মহকুমাশাসক অহিংসা জৈনের উদ্যোগে গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি তাঁর দফতরে একপ্রস্ত বৈঠকও হয় । এনিয়ে এর আগেও একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল । কোনো বারই সমাধান সূত্র বের হয়নি ।
জানা গেছে, উভয় পক্ষকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসেছিল প্রশাসন । কাটোয়া মহকুমাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী,ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা এবং পুলিশ আধিকারিকরা। গীধেশ্বর মন্দির কমিটির প্রতিনিধি এবং দাসপাড়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই আলোচনায় অবশেষে দাসপাড়ার বাসিন্দাদের পুজো দিতে দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় । তবে জানা গেছে যে ফের নতুন করে যাতে বিতর্কে সৃষ্টি না হয় সেজন্য আপাতত গ্রামে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে রাখা হবে ।।
Finally, forgetting caste differences, Gidheshwar Mahadev became public, with the intervention of the administration, the residents of Das Para got the right to worship