নীল পাঠক,নন্দীগ্রাম(পুর্ব মেদিনীপুর),২৪ নভেম্বর ঃ কোথায় গেলেন পঞ্চায়েতের প্রধান? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন নন্দীগ্রামে।এনিয়েই চলছে জোর চর্চা। এলাকাবাসী রীতিমতো পোষ্টার সাঁটিয়ে দিয়েছেন ‘নিখোঁজ’ প্রধানের হদিশ পেতে । নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবিতা বারিক বহুদিন ধরে অফিসে আসছেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।ফলে পঞ্চায়েতের কোনও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ নানা কাজে পঞ্চায়েত অফিসে এসে ফিরে যাচ্ছেন। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। এমন অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলার পর এদিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায় পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে।পোস্টারে লেখা, “নিখোঁজ প্রধান। মানুষ অসহায়, বন্ধের মুখে আমদাবাদ-২ অঞ্চল। জনস্বার্থে প্রচারিত।”
আমদাবাদ-২ অঞ্চলের নাগরিকবৃন্দ এই পোস্টার দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে এই পোস্টারে। এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে, গাছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে এই পোস্টার এখন সাঁটানো রয়েছে।যানিয়ে বিরোধীদের কাছেও বিষয়টি রাজনৈতিক খোরাক হয়ে উঠেছে।
নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল এদিন বলেন, ‘আজ সকালে জানতে পারলাম দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা বারিক অফিসে আসছেন না বলে ওঁনার নামে পোস্টার পড়েছে। আমার যা মনে হয় খুব শীঘ্রই আমদাবাদ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে আসছে। কয়েকদিন আগে বয়াল-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এসেছে।”প্রলয়বাবুর কথায়,” এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে একুশের নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের যেতে হবে না, তার আগেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল নামক যে অগণতান্ত্রিক দল শাসল করছে তারা মুছে যাবে নন্দীগ্রাম থেকে। একুশের বিধানসভা ভোটের পর ব্যাপক ক্ষমতা নিয়ে নন্দীগ্রামে বিজয় পতাকা ওড়াবে বিজেপি।’”
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা বারিকের সঙ্গে অবশ্য ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য বিডিও-কে জানিয়ে কিছুদিন পঞ্চায়েত অফিসে যাইনি । তবে বাড়িতে বসেই পঞ্চায়েতের কাজ সামলাচ্ছি।”