এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৮ মার্চ : স্বামী ও পেশায় টোটো চালক বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর অতান্তরে পড়ে যান পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানা এলাকার মহিলা সুষ্মিতা রোম । কারন বাড়িতে রয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক সন্তান । সন্তানের চিকিৎসা ও দু’জনের সম্বৎর অন্নসংস্থান কিভাবে হবে তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না তিনি । শেষ পর্যন্ত বাবার রেখে যাওয়া টোটোটিকে জীবনসংগ্রামের হাতিয়ার করেন সুষ্মিতাদেবী । প্রতিবন্ধী সন্তানকে বুকে বেঁধে টোটো চালিয়ে সেই উপার্জনে সংসার চালাচ্ছেন তিনি । জীবন সংগ্রামে হার না মানা এই নারীকে আজ আন্তর্জাতিক নারীদিবসের দিন বিশেষ সম্মান জানিয়ে নারীশক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানালো পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ ৷ আজ শনিবার সন্ধ্যায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএসপি ডিএন টি সুরজিৎ মণ্ডল,ভাতার থানার ওসি বুদ্ধদেব ঢুলি সহ পুলিশ আধিকারিকরা । পাশাপাশি সম্মান প্রদর্শন করা হয় নিষ্ঠার সঙ্গে পুলিশের গুরু দায়িত্ব সামলানো ভাতার থানার তিনজন মহিলা কনস্টেবলকেও ।
জানা গেছে,ভাতার গ্রামে বাপের বাড়ি সুষ্মিতা রোমের । বছর দুয়েক আগে তার স্বামীর অকাল মৃত্যু হয় । তখন একমাত্র সন্তানটির বয়স মাত্র ৪ বছর । চলে আসেন বাবার কাছে । কিন্তু পেশায় টোটো চালক বাবাও মাস ছয়েক আগে মারা যান । মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সুষ্মিতা রোমের । কিন্তু সংসারের জোয়াল টানতে শোক ভুলে বাবার রেখে যাওয়া টোটোটিকে জীবন সংগ্রামের হাতিয়ার করেন তিনি । প্রতিবন্ধী সন্তানকে বুকের সঙ্গে বেঁধে যাত্রীদের তিনি দুরদুরান্তের পৌঁছে দিয়ে আসেন । আর সেই ভাড়াতেই চলছে তাদের ছোট্ট সংসারটি । আজ ভাতার থানার পুলিশের তরফে সম্মান জানানোয় খুব খুশি সুষ্মিতাদেবী৷ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পুলিশকে । অন্যদিকে জীবন সংগ্রামে হার না মানা ওই নারীকে কুর্নিশ
lice pay special tribute to bride who rode a toto with her disabled child tied to her chest on Women’s Day