এইদিন বিনোদন ডেস্ক,০৮ মার্চ : বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মিটু মামলায় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত। মুম্বাই পুলিশ নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন তনুশ্রী। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির রেলওয়ে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বানসাল মামলাটি শুনানি করেন। তিনি তনুশ্রী দত্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এই কারনে যে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এই মামলায় দায়ের করা অভিযোগ আদালতের নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪৬৮ ধারা উদ্ধৃত করেছেন। এই ধারাটি নির্ধারিত সীমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আদালতকে অপরাধের বিচার গ্রহণে বাধা দেয়। বিচারপতি বনসাল বলেন যে এই ক্ষেত্রে মামলাটি আমলে নেওয়ার সীমা ছিল মাত্র তিন বছর। অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাটি ২০০৮ সালে ঘটেছিল এবং অভিযোগটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে দায়ের করা হয়েছিল। অতএব মামলার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
আসলে, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে ওশিওয়ারা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা নানা পাটেকর ছাড়াও অনেকের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন। এর পর, অনেক মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনাগুলি নিয়ে লিখতে শুরু করেন। এটিকে ভারতে ‘মি টু’ আন্দোলনের সূচনা বলে মনে করা হত। তবে নানা পাটেকরের মাময়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আপত্তিকর কিছু পাননি। প্রতিবেদন অনুসারে, এফআইআরটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর পর পুলিশ একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করে। বলা হয়েছিল যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, অভিযোগটি মিথ্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে । তনুশ্রী দত্ত ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর, এর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। তিনি পুনঃতদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন আদালতে খারজি হয়ে গেছে৷।