এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,০৬ মার্চ : সম্পত্তির লোভে সুপারি কিলার দিয়ে বাবা-কে খুনের মামলায় মেয়ে জামাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসত আদালত । রাজ্য পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়ার টুনিঘাটা লন্ডনপাড়া এলাকার । ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের বাড়িতে খুন হন প্রাক্তন সেনাকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং স্ত্রী লীলারানী। তাদের ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ।
পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর হাবড়া থানায় এফআইআর রজু করেন মৃত রামকৃষ্ণের ভাই জ্যোতির্ময় মণ্ডল। তিনি প্রথমেই মৃত দম্পতির মেয়ে নিবেদিতা সাধু এবং জামাই বান্টি সাধুর প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন । এরপর পুলিশ তাদের আটক করে ম্যারাথন জেরা করতেই তারা খুনের কথা বকুল করে । জেরায় পুলিশ জানতে পারে মৃত দম্পতির মেয়ে জামাই ‘শার্পশুটার’ অজয় দাসকে খুনের বরাত দিয়েছিল ।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে জানা যায় যে বাজারে বান্টির দেনার পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। পাওনাদারদের তাগাদা সহ্য করতে না পেরে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে টাকা চেয়েছিল বান্টি । কিন্তু টাকা মেলেনি। আর সেই রাগেই স্ত্রী নিবেদিতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে অজয়ের সাহায্যে ঠাণ্ডা মাথায় তারা রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং লীলারানীদেবীকে খুন করে ।
পুলিশ জানিয়েছে,তদন্তে একটা ফোন রেকর্ড হাতে আসে পুলিশের । সেই রেকর্ডটি ছিল অজয়কে সুপারি দেওয়ার সময় কথোপকথনের৷ যেটি অজয় নিজের ফোনে রেকর্ড করে রেখেছিল । যা পরে পুলিশের হাতে আসে ।
চার বছরের বিচারপর্ব শেষে সম্প্রতি মামলার রায় বেরিয়েছে৷ নিবেদিতা, বান্টি, এবং অজয়কে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বারাসত আদালত, পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা। অজয়ের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় অস্ত্র আইনের অধীনে আরও তিন বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে তার। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।।