এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ মার্চ : রাজ্যে ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর চলছে । তৃণমূলের অভিযোগ হিন্দিভাষী হিন্দু ভোটারদের নাম এরাজ্যের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের এরাজ্যের ভোটার বানানোর অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির । রাজ্য বিজেপির যুবনেতা ও হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারির অভিযোগ,’পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের ভোটার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে মূলত এই ‘প্রবণতা’ বেশি দেখা যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন ।
তরুনজ্যোতি এনিয়ে এক্স-এ লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের ভোটার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষত মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দিনাজপুরের মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক স্বার্থে এই অবৈধ ভোটারদের আশ্রয় এবং ভোটাধিকার প্রদান করছে, যার ফলে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করে না, বরং স্থানীয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে খর্ব করছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে সব ভুয়া ভোটার গুলোকে অবিলম্বে বের করা উচিত। যে তৃণমূল নেতাগুলো এই কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত তাদেরকে অবিলম্বে জেলে ঢোকানো উচিত। এরা দেশদ্রোহী থেকে কম না ।’
এর আগে তরুনজ্যোতি তিওয়ারি অভিযোগ করেছিলেন নদীয়ার তৃণমূল নেত্রী শেফালী খাতুনের (স্বামী জিয়াউর রহমান) দুটি পৃথক বিধানসভা কেন্দ্র নাকাশিপাড়া ও কালিগঞ্জে ভোটার হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছেন । তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি সরকারি রেকর্ড বিকৃতি করার অভিযোগ তোলেন তিনি৷ এই বিতর্কের মাঝেই বিজেপি দাবি করেছে যে মালদা জেলার মালদা লোকসভা কেন্দ্রেই ৪২ হাজার ভূতুড়ে ভোটার রয়েছে । আর ওই সমস্ত ভূতুড়ে ভোটাররা হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিম । উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রেই হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন লাভলি খাতুন। যিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত । আর সেই লোকসভা কেন্দ্রেই ওই ৪২ হাজার ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বিজেপি দাবি করেছে৷ সেই তালিকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ।।