এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোরখপুর(ইউপি),০৩ ফেব্রুয়ারী : উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের ঘোষ কোম্পানি চকে অবস্থিত আবু হুরায়রা মসজিদটি স্বেচ্ছায় ভাঙার কাজ শুরু করেছে মসজিদ কমিটি । এই মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। গোরক্ষপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) ১৫ দিন আগে অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছিল। নোটিশের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, শনিবার (১ মার্চ) মসজিদ কমিটি নিজেই কাঠামোটি ভাঙার কাজ শুরু করে।
জানা গেছে,গোরক্ষপুরের ঘোষ কোম্পানি চকের কাছে পৌর কর্পোরেশনের জমিতে অবৈধভাবে একটি ৩ তলা মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। এই অবৈধ কাঠামো অপসারণের জন্য কর্পোরেশন মসজিদ কমিটিকে বেশ কয়েকটি নোটিশ জারি করেছিল। কয়েক মাস আগে, বুলডোজার ব্যবহার করে অবৈধ দখল অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও একই জমিতে একটি চারতলা মসজিদ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে যে নকশা অনুমোদন না করেই এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। এর পর, গোরক্ষপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মসজিদ কমিটিকে একটি নোটিশ জারি করে ১৫ দিনের মধ্যে মসজিদটি খালি করার নির্দেশ দেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি মসজিদের তত্ত্বাবধায়কের ছেলে শোয়েব আহমেদকে এই নোটিশ দেওয়া হয় এবং অবৈধ নির্মাণ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার পর,অবশেষে শনিবার (১ মার্চ) মসজিদ কমিটির সদস্যরা নিজেরাই নির্মাণ ভাঙতে শুরু করে । এখন একই জমিতে একটি বহুতল বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মিত হবে।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি গোরক্ষপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা কুশিনগরের মাদনি মসজিদটি বুলডোজার ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইভাবে, মিরাটের ৮৫ বছরের জাহাঙ্গীর খান মসজিদটিও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। গত মাসের শুরুতে, গোরক্ষপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তিন তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম জারি করেছিল। পূর্ববর্তী বুলডোজার অ্যাকশনের পর সম্প্রতি এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। জিডিএ-এর মতে, ঘোষ কোম্পানি স্কোয়ারের কাছে পৌর কর্পোরেশনের জমিতে ‘অবৈধভাবে’ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের ট্রাস্টির ছেলে শোয়েব আহমেদকে ১৫ ফেব্রুয়ারি নোটিশ দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল যে ১৫ দিনের মধ্যে মসজিদটি ভেঙে ফেলতে হবে। নোটিশে বলা হয়েছিল যে, যদি এটি করা না হয়, তাহলে জিডিএ বুলডোজার দিয়ে ভবনটি ভেঙে ফেলবে এবং এর খরচ নির্মাতার কাছ থেকে আদায় করবে। মসজিদের দরজারেও নোটিশের একটি কপি সাঁটানো হয়েছিল।।