এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০১ মার্চ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝেই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি তালিবানপন্থী মাদ্রাসার অন্তর্গত একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে । খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আক্কোরা খাট্টাক জেলায় এই বিস্ফোরণটি ঘটে। হামলার সময় রমজানের আগের শেষ শুক্রবারে নামাজ পড়া চলছিল । বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন মুসল্লি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। আফগান তালিবানের সাথে পরিচিত সম্পর্কযুক্ত জামিয়া হাক্কানিয়া মাদ্রাসার ভিতরে সংঘটিত এই হামলার দায় এখনও কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। এদিকে এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশের খেলোয়াড়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।
রমজানের আগের শেষ শুক্রবারে এই বোমা হামলাটি ঘটে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে মুসলিমদের রমজান মাস শনিবার অথবা রবিবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্য ডন জানিয়েছে, মাদ্রাসার প্রধান হলে শুক্রবারের নামাজের সময় বিস্ফোরণটি ঘটে, যার ফলে কর্তৃপক্ষ নওশেরায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।খাইবার পাখতুনখোয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল জুলফিকার হামিদ সামা টিভির সাথে কথা বলার সময় বলেন,’প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে। কেউ কেউ আহত হয়েছেন, আবার কেউ কেউ শহীদ হয়েছেন ।’
বিষয়টি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা আরও যোগ করেছেন যে ‘মনে হচ্ছে’ যে বিস্ফোরণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন মাওলানা হামিদুল হক হাক্কানি। মাওলানা হাক্কানি, যিনি জেইউআই-এস-এর প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন, তিনি প্রয়াত মাওলানা সামিউল হকের জ্যেষ্ঠ পুত্র। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং মাওলানা হক এবং নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা ও আহতদের আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেছেন,’এই ধরনের কাপুরুষোচিত এবং জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সংকল্পকে দুর্বল করতে পারবে না । আমরা দেশ থেকে সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।’ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং মূল্যবান প্রাণহানির জন্য গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।।