এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,২৮ ফেব্রুয়ারী : এরাজ্যে নিরন্তর ঘটে চলেছে মহিলাদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা । এবারে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেই এক কর্মীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, শারীরিক পরীক্ষার নামে কিশোরীকে শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে নগ্ন করে গোপনাঙ্গে অশ্লীল স্পর্শ করে শেখ রিয়াজ নামে ওই কর্মী ৷ মেয়েটি আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলে আশপাশের লোকজন ছুটে যায় । অবশ্য তার আগেই চম্পট দেয় রিয়াজ । তবে পালানোর আগে সে মেয়েটিকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ । যদিও ঘটনার অব্যবহিত পরেই অভিযুক্ত শেখ রিয়াজকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল মন্তব্য করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা সাধারণ ব্যাপার’।
অগ্নিমিত্রা পাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন,’বাংলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে! চিকিৎসাধীন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ।সেখানকার গ্রামীণ হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়।গত বুধবার জ্বর, বমি নিয়ে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ওই নাবালিকা। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ওই হাসপাতালের ডি গ্রুপের এক কর্মী তাকে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করানোর নাম করে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। অভিযোগ, এক শারীরিক পরীক্ষার নাম করে ওই নাবালিকাকে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে যান তিনি।সেখানেই তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।’
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর শাসনে বাংলায় নারীদের সুরক্ষা নেই।সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হচ্ছে।লজ্জা!আর জি কর হাসপাতালে “অভয়াকে” নৃশংভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।সেই ঘটনার পর বাংলার নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে মমতা সরকার অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন,আসলে তা বাস্তবায়িত হয়নি।প্রায় প্রতিদিনই বাংলায় ধর্ষণ থেকে শ্লীলতাহানির মতন জঘন্যতম ঘটনা ঘটেই চলেছে।তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত এই রাজ্যে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতন ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলার নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে মমতা ব্যানার্জী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।’
জানা গেছে,যৌন নিগ্রহের শিকার ওই কিশোরীর সঙ্গে তার মা ছিলেন ৷ কিন্তু হাসপাতালে এসে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ সেজন্য তাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল । আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিনি বেঘোরে ঘুমচ্ছিলেন । আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় অভিযুক্ত শেখ রিয়াজ।।