এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২৭ ফেব্রুয়ারী : গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো আইসিসি ইভেন্টে ইংলিশদের হারিয়েছিল তারা। তার জের কাটতে না কাটতেই ইংল্যান্ডকে আরও একটি ধাক্কা দিলো রশিদ- নবীরা। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেছে আফগানিস্তান। আর এই লজ্জার হারের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়া কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। টানা দুই হারে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে ৩২৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানিস্তান। জবাবি ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড ৩১৭ রানে অলআউট হয় । ৮ রানের জয় পায় আফগানিস্তান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৩ বলে ১২ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। তিনে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জেমি স্মিথ। তবে বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন জো রুট। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে ইংলিশরা। কিন্তু অর্ধশতক তুলেতে পারেননি ডাকেট। ৪৫ বলে ৩৮ রান করে করেন তিনি। ২১ বলে ২৫ রান করে হ্যারি ব্রুক আউট হলেও ৫০ বলে অর্ধশতক তুলে নেন রুট। তাকে সঙ্গ নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক বাটলার। কিন্তু অঅর্ধশতক তুলতে পারেননি তিনিও। ৪২ বলে ৩৮ রান করেন বাটলার। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন লাইম লিভিংস্টোন। অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৯৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন ওভারটনও। ৪৬তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন জো রুট। তারপর বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। ১১১ বলে ১২০ রান করেন রুট। এরপর ওভারটন ২৮ বলে ৩২ রান এবং ৮ বলে ১৪ রান করে আর্চার আউট হলে ম্যাচ থেকে ফিটকে যায় ইংল্যান্ড। শেষ ৬ বলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। কিন্তু ইনিংসের শেষ বলে আদিল রশিদ ৭ বলে ৫ রান করে আউট হলে ৩১৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এতে ৮ রানের জয় পায় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নবি দুটি, ফজল হক ফারুকী, রশিদ খান ও গুলবাদিন নাঈব নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১৫ বলে ৬ রান করেন তিনি। তিন বল পরে তাকে সঙ্গ দেন সাদিকুল্লাহ আতাল (৪)। এরপর ৯ বলে ৪ রান করে রহমত শাহ আউট হলে দলীয় ৩৭ রানে তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে হাশমতুল্লাহ শাহীদিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইব্রাহিম জাদরান। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৪০ রানের কোটা পার করে আফগানিস্তান। ৬৭ বলে ৪০ রান করে শাহীদি আউট হলেও ৬৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন জাদরান। শাহীদির বিদায়ের পর জাদরানকে সঙ্গ দিয়ে রান তুলতে থাকেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। তবে ৫০ তুলতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৪১ রান করে ফেরেন । অপর প্রান্ত থেকে ১০৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন জাদরান। এরপর বলে বলে রাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন এই আফগান ওপেনার। এতে ১৩৪ বলে ১৫০ রানের কোটা পার করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন মোহাম্মদ নবিও। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হন জাদরান। তিনি ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করেছেন । দুই বল পরে সাজঘরে ফিরেছেন নবিও। তার সংগ্রহ ২৪ বলে ৪০ রান । এতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল আফগানিস্তান।।