এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,২৫ ফেব্রুয়ারী : ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়কা অগ্নিমিত্রা পাল । তার অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত অন্যপথে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ । আজ মঙ্গলবার নিহত তরুনীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে হুগলির চন্দননগরে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন অগ্নিমত্রা পাল । পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন,’আজ সেই মৃতা তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং এই কঠিন সময়ে সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলাম।’ পাশাপাশি তার অভিযোগ,’পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত অন্যপথে নিয়ে যেতে চাইছে । কিসের স্বার্থে !পুলিশ এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ।লজ্জা !’
ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ ও পানাগড়ের মাঝামাঝি এলাকায় । গভীর রাতে একটি চারচাকা ছোট গাড়িতে করে চালক সুতন্দ্রাসহ ৫ জন চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।বুদবুদে একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে তেল ভরার সময় সুতন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় কথা বলছিল কিছু মদ্যপ যুবক । তারপর কোনো রকমে গাড়িতে তেল পুরে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন । সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়দের গাড়ি । পুলিশ এটি নিছক দুর্ঘটনা বললেও গাড়ির চালকের দাবি ওই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের ‘ম্যাডাম’ সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে যাওয়া ।
গত রবিবার রাতের সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন,’হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়।রবিবার গভীর রাতে গাড়িতে চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেলেন ওই তরুণী-সহ মোট পাঁচ জন।বুদবুদ থানা এলাকার একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িটি তেল নেওয়ার জন্য দাঁড়ায়। সেই সময় কয়েক জন যুবক একটি গাড়িতে চেপে এসে কটূক্তি করতে থাকেন।তার পর তাঁরা গাড়ি নিয়ে আগের গাড়িটির পিছু ধাওয়া করেন।ভয়ে প্রথম গাড়িটির চালক দ্রুত বেগে গাড়ি ছোটাতে থাকেন।পানাগড়় বাজারের রাইসমিল রোডের মুখে মত্ত যুবকদের গাড়ি তরুণীদের গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করে এবং সেটিতে ধাক্কা মারে।নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রথমে রাস্তার ধারের একটি দোকানে ধাক্কা মারে।তার পর একটি শৌচাগার এবং লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দননগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর।’
তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করে লেখেন,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর শাসনে বাংলায় নারীদের কোনও সুরক্ষা নেই।মমতার দলদাস পুলিশ সবক্ষেত্রে অপরাধীদের আড়াল করতে ব্যস্ত।কোথাও কোনও পুলিস পেট্রোলিং নেই।সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।’ তিনি আরও লিখেছেন,’বাংলার যেকোনো প্রান্তে কোনও মেয়ে একা রাস্তায় বেরোতে নিরাপদ বোধ করছে না।”অভয়ার”ঘটনার পরে বাংলার নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে মমতা সরকার অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল,আসলে তা বাস্তবায়িত হয়নি।প্রায় প্রতিদিনই এই ধরণের ঘটনা বাংলায় ঘটে চলেছে।তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত এই রাজ্যে এখন ইভটিজিং ,শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতন ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলার নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে মমতা ব্যানার্জী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।’।