এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,২৫ ফেব্রুয়ারী : শিলিগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি চুনাবাটি এলাকায় সাকম্বরী চন্ডী মাতার মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে । আজ মঙ্গলবার সকাল প্রায় সাড়ে ৮ টা নাগাদ মন্দিরের পুরোহিত দেবীর নিত্যসেবার জন্য এলে দেখেন মন্দিরের লোহার গেটের একাংশ ভাঙা । এরপর তিনি আশপাশের লোকজনদের ডাকেন । তারপর তারা মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান যে গেটের পাশেই রাখা দানবাক্স ভাঙা এবং সমস্ত টাকা পয়সা চুরি হয়ে গেছে । দানবাক্সে রাখা ছিল দেবীর সোনার অলঙ্কার । সেগুলিও নেই । দুষ্কৃতীরা দেবীর নিত্যসেবার কাজে ব্যবহৃত ,কাঁসা পিতলের বাসনপত্রের পাশাপাশি দেবী মুর্তিকে পরানো সোনার অলঙ্কার পর্যন্ত খুলে নিয়েছে । নগদ, অলঙ্কার ও বাসনপত্র মিলে বেশ কয়েক হাজার টাকার সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত নারায়ন চন্দ্র দাস ।
জানা গেছে,১৯৮০ সালে স্থাপিত হয় ফুলবাড়ি চুনাবাটি এলাকার বাবা শ্রী শ্রী পঞ্চানন শিব ও শাকম্ভরী চন্ডী মাতা মন্দিরটি । তখন থেকেই মন্দিরের সেবাইতের কাজ করে আসছেন বৃদ্ধ সন্নাসী নারায়ন চন্দ্র দাস । তিনি বলেন,’সোমবার রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত আমি মন্দিরে ছিলাম । আজ সকাল প্রায় সাড়ে ৮ টা নাগাদ মন্দিরে এসে দেখি মন্দিরের লোহার গ্রিলের ডান দিকের একাংশ ভাঙা । তবে অক্ষত অবস্থায় ছিল মন্দিরের গেটের তালা । চুরি হয়েছে বুঝতে পেরে আমি আশপাশের লোকজনদেরকে ডাকি । এরপর মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দেখি দানবাক্স খোলা । সেখানে নগদ ১৬ হাজার টাকা এবং দেবীর কিছু সোনার গয়না রাখা ছিল । সেগুলো নেই । কাঁসা পিতলের বাসনপত্র গুলো উধাও হয়ে গেছে । এমনকি মায়ের মাথায় লাগানো সোনার টিকলি টা পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা ।’ তিনি জানান, দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের তিনটে জানালা ভাঙার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু পারেনি । শেষে গেটের একাংশ ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে ।
তিনি এও জানিয়েছেন যে সাকম্বরী চন্ডী মাতার মন্দিরে চুরির ঘটনা এই প্রথম নয় । এর আগেও স্টিলের দানবাক্স ভেঙে কয়েক হাজার টাকা চুরি করেছিল দুষ্কৃতীরা । সাড়ে ৪ বছর আগে দেবী মুর্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । এদিকে একটা মন্দিরে বারবার চুরি ঘটনা ঘটায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।।