এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৪ ফ্রেবুয়ারি: সমাজে ‘নারীদের উপর সংঘটিত হিংসা’ নিয়ে বই লিখেছেন ‘সেকুলার পন্থী’ সিপিএমের সর্বভারতীয় মহিলা নেত্রী বৃন্দা কারাত। সোমবার হুগলির ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। আর বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের ফটোশ্যুট সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করেছে রাজ্য সিপিএম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বৃন্দা কারাত এবং তাঁর স্বামী বামনেতা প্রকাশ কাঁরাত ওই বইটি হাতে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন। সিপিএমের ফেসবুক পেজে এই ছবি পোস্ট হওয়ার পরেই বৃন্দাদেবীকে তুলোধোনা শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তার কারণ একটাই। সেকুলারপন্থী বর্ষিয়ান মহিলানেত্রীর বৃন্দাদেবীর যে বই এদিন দলের রাজ্য সম্মেলনে প্রকাশিত হয়েছে সেই বইটির নাম – ‘ হিন্দুত্বের হিংসার মুখে নারী।’ বলার অপেক্ষা রাখে না বৃন্দাদেবীর মূল নিশানায় ‘হিন্দুত্ববাদী’রাই। আর সদ্যপ্রকাশিত এই বই হাতে বৃন্দাদেবী – প্রকাশবাবুর ছবি ফলাও করে রাজ্য সিপিএম সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করার পরেই নেটিজেনদের বড় অংশ কার্যত তুলোধোনা করে ছাড়ছেন তাঁকে ও তাঁর দলকে। কমেন্ট বক্সে দেখা যাচ্ছে যাঁরা বৃন্দা কারাতের বইটির নামকরণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তাঁদের সিংহভাগই হলেন বামপন্থী। কেউ সিপিএমের প্রাক্তন ছাত্রনেতা, কেউ সিপিএমের প্রাক্তন যুবনেতা। কমেন্ট বক্সে তাঁরা একপ্রকার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কেন রাজ্যে সিপিএমের এমন হাল।
সিপিএমের এক প্রাক্তন এক ছাত্রনেতা কমেন্টে লিখেছেন,” হিন্দু ধর্মের শত্রু সিপিএম দূর হলো।”
পূর্ব বর্ধমান জেলার সিপিএমের আর এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা কমেন্টে লিখেছেন,” এই কারাত দম্পতি হিন্দুত্বের নিন্দা করতে গিয়ে সিপিএমের উপর এমন করাত চালাবেন নোটার থেকেও কম ভোট পেয়ে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার মানুষের মন থেকে মুছে যাবে।”
নেটিজেনদের মধ্যে জয়ন্ত দেবনাথ কমেন্ট করেছেন,” এই বই প্রমাণ করে যে বামেরা শুধু মাত্র দেশ বিরোধী ই নয় তীব্র হিন্দু বিদ্ধেষী ও ।”
আর একজন বৃন্দা কারাতকে কটাক্ষ করে কমেন্ট করেছেন,”পাকিস্তান আফগানিস্তান সিরিয়া ইরান ইরাকে নারীরা খুব সুরক্ষিত এবং সবথেকে বেশি স্বাধীনতা তারা সেখানে ভোগ করে।কারণ সেখানে হিন্দুত্ববাদীরা নেই।”
রজত বিশ্বাস নামে এক নেটিজেন কমেন্টে লিখেছেন,” খুঁজেও বের করেছেন আপনারা বই লেখার টপিক, ” হিন্দুত্বের হিংসার মুখে নারী” । ভাবা যায় …!! আপনারা শপথ করেই নিয়েছেন যে আপনারা যে করেই হোক শূন্যই থাকবেন।”
অলোক দে নামে এক নেটিজেন লিখেছেন,” আমার মনে হয় লেফট রা সাম্প্রদায়িক দল হিসাবে প্রমোট করতে চলেছে।।
কারণ আগে জানতাম বামপন্থী রা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে না এখন আমাদের ভাবনা ভুল।
বুদ্ধ বাবু বলেছিলেন দাঙ্গা করতে এলে মাথা গুড়িয়ে দেবো কিন্ত বলেননি নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের লোকেরা দাঙ্গা করতে এলে মাথা গুড়িয়ে দেবো। কিন্তু এখন দেখছি এই সব নেতৃত্ব যে ধরণের বই প্রকাশ করছে তাহলে তো বলাই যায় এরা ও এক নির্দিষ্ট ধর্মের মাসিহা হতে চলেছে।”
দেবব্রত প্রধান কমেন্ট করেছেন,”মানুষ এমনি এমনি এদের Nota র নিচে নামিয়ে আনেনি। সবথেকে দেশদ্রোহী ও হিন্দু বিরোধী দল এটা। সাহস থাকে অন্য ধর্ম নিয়ে লিখে দেখাক দেখি।”
অভিতাভ বসাক নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন,” দলের নাম বদলে Confederate Parties of Islamic Mindset রেখে দিন।” বিশ্বজিৎ দাস লিখেছেন,”এই জুটিটাই লালকে ধ্বংস করার প্রধান কারিগর। যারা একটু বোঝে তারই জানে…।’।