এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,২৪ ফেব্রুয়ারী : কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল হাওড়ায় । রবিবার রাতে হাওড়ার কদমতলায় সরকারি আবাসনের সামনে এক তৃণমূল নেতার বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হ এক পথচারীর প্রৌঢ়ার । মৃতা অর্চনা দত্ত(৫৭) কদমতলার সরকারি আবাসনে থাকতেন । এই ঘটনায় ঘাতক বাইক চালক অরুণাভ দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কিন্তু তার সঙ্গে থাকা হাওড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ মণ্ডলকে পুলিশ পালাতে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ উঠছে । এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় কুলগাছিয়া শ্রীরামপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে আজ সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পিছনে অন্য একটি বাস সজোরে ধাক্কা দিলে ঝাঁকুনিতে প্রথম বাসে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে । অবশ্য সামনের বাসটি যাত্রী তোলার জন্য আচমকা দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের । পুলিশ দুটি বাসই আটক করেছে ।
প্রথম ঘটনায় জানা গেছে,হাওড়ার কদমতলায় সরকারি আবাসনের বাসিন্দা অর্চনা দত্ত রবিবার রাতে কিছু মুদিখানার সামগ্রী কেনাকাটার জন্য বের হয়েছিলেন । কেনাকাটা করে রাত্রি ১০টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরছিলেন । সেই সময় একই বাইকে চড়ে আসছিলেন দুই তৃণমূল নেতা অরুণাভ দত্ত ও অভিজিৎ মণ্ডল । বাইকটি বেপরোয়া গতিতে এসে অর্চনাদেবীকে সজোরে ধাক্কা দেয় । বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন তিনি । তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে । আশপাশের লোকজন।তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
কিন্তু সবচেয়ে অমানবিক বিষয় হল যে দুই তৃণমূল নেতা অরুণাভ দত্ত ও অভিজিৎ মণ্ডল গুরুতর জখম প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তারা ফের বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন । আর পালাতে গিয়ে বাইকসহ নর্দমায় পড়ে যান তারা । স্থানীয়রাই তাদের ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয় । তারপরেও অভিজিৎ মণ্ডল চম্পট দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে ।
দ্বিতীয় ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,আজ সকালে শ্রীরামপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল নন্দীগ্রাম – বারাসাত রুটের একটি বেসরকারি বাস । ঠিক তার পিছনেই আসছিল দীঘা – হাওড়া রুটের অন্য একটি বাস । যাত্রী তোলা নিয়ে দুই বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল । কুলগাছিয়া শ্রীরামপুরে আসতেই প্রথম বাসটি যাত্রী তোলার জন্য সজোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে । এর ফলে পিছনের বাসটি ব্রেক কষার আগেই নন্দীগ্রাম – বারাসাত রুটের বাসের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয় । প্রবল ঝাঁকুনিতে সামনের বাসের প্রায় দুই ডজন খানেক যাত্রী আহত হয় । আহতদের উদ্ধার করে উলুবেরিয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । তবে চালক পালিয়ে গেছে ।।