এইদিন ওয়েবডেস্ক,মধ্যপ্রদেশ,২৩ ফেব্রুয়ারী : বোরখা দিয়ে শরীর ঢেকে মুসলিম প্রেমিকের সাথে আদালতে গিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করতে গিয়েছিল হিন্দু ব্রাহ্মণ তরুনী ৷ কিন্তু উকিলরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই মুসলিম যুবককে ধরে বেদম পিটিয়ে দেয় । পরে পুলিশ গিয়ে ওই জুটিকে উদ্ধার করে ।মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলা আদালতের ঘটনা । পুলিশ জানিয়েছে, আইনজীবীরা তার ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানতে পেরেই তারা যুবককে মারধর শুরু করে। এই মাসে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। দুই সপ্তাহ আগে ভোপাল জেলা আদালত থেকেও একই রকম একটি মামলা সামনে আসে। যখন হিন্দু সংগঠনের সাথে যুক্ত কিছু লোক একটি মুসলিম ছেলেকে ‘লাভ জিহাদ’ চালানোর অভিযোগ করে মারধর করে
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,পুরো বিষয়টি রেওয়া জেলা আদালতের সাথে সম্পর্কিত। যেখানে একজন মুসলিম যুবক এবং একজন হিন্দু মেয়ে ‘বিশেষ বিবাহ আইন’র অধীনে বিয়ে করতে এসেছিল। ২৭ বছর বয়সী রাকিন খানের বাড়ি গুধ থানা এলাকায় । যার সাথে ২১ বছরের এক মেয়ে বোরখা পরে এসেছিল। বলা হচ্ছে যে হিন্দু মেয়েটি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের এবং ৬ মাসের গর্ভবতীও। পুলিশের মতে, একজন আইনজীবী মেয়েটির আধার কার্ডে একটি হিন্দু নাম পেয়ে হট্টগোল শুরু করেন। আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন যে এটি লাভ জিহাদের মামলা। এর পর কিছু ক্ষুব্ধ আইনজীবী যুবকটিকে বেদম পেটাতে শুরু করেন।
তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটিকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বাড়তে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার পর একটি ভিডিওও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে যুবকটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং তার জামা ছিঁড়ে গেছে এবং সে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, “আমায় মারলো” । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনওভাবে আইনজীবীদের হাত থেকে যুবকটিকে উদ্ধার করে স্কুটারে চাপিয়এ থানায় নিয়ে যায়। যখন মেয়েটিকে পুলিশের জিপে করে তার বাড়িতে পাঠানো হয়।
সিভিল লাইনস থানার ইনচার্জ কমলেশ সাহু বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করতে চায়।’ কিন্তু আদালতে হট্টগোলের পর তাদের বিয়ে হয়নি।’ অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হিন্দু সংগঠনের লোকেরা থানায় পৌঁছে যুবকদের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের অভিযোগ তোলে। তারা এই বিষয়ে পুলিশের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে ।।