এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ ফেব্রুয়ারী : এক সময় ‘চড়াম চড়াম ঢাক’, ‘গুড় বাতাসা’ প্রভৃতি কথা বলে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী দলগুলোকে চমকাতেন বলে অভিযোগ । কিন্তু তিনি গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে আসার পর বর্তমানে অনেকটাই নিষ্প্রভ । তবে বীরভূম জেলায় তার যে বিকল্প নেই, বিশেষ করে এই ধরনের আলটপকা মন্তব্যের বিষয়ে, এটা ভাবা ভুল । পুরনো অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথ ধরেই এখন এই ধরনের মন্তব্য করছেন বীরভূমের বোলপুরের এক তৃণমূল নেতা । যার নাম বাবু দাস বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তার এমনই একটা বিতর্কিত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাগ করেছেন ।
ভিডিওতে ওই তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা গেছে, ‘আপনারা কান খুলে শুনে রাখুন, আমরা অনেক উন্নয়ন দিয়েছি । অনেক আদর দিয়েছি । অনেক সহানুভূতি দেখিয়েছি । এবার ২০২৬-এর ভোটে, আমি বাবু দাস বলে যাচ্ছি, দুয়ারে কেলানি রাখবো । বিজেপির যারা কর্মী…..।’
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,’সমাজবিরোধী দুর্বৃত্তদের জনপ্রতিনিধি করলে তার পরিণতি কতটা আতঙ্কজনক হতে পারে, এটা তার বড় উদাহরণ। বীরভূমের বোলপুর পৌরসভার তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এলাকার কুখ্যাত এক নেতা বাবু দাসের বক্তব্য, ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হলে নাকি ২০২৬-এ বাড়ির দুয়ারে গিয়ে মারধর করা হবে !’ এরপর তিনি লেখেন,’এটাই কি সেই গণতন্ত্র, প্রতিদিন অনর্গল যার বিজ্ঞাপন দিতে থাকেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলে কিংবা শাসকদলের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করলে প্রতিদিন বিজেপি কর্মীদের প্রাণঘাতী হুমকির সম্মুখীন হতে হবে! পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী কি তাঁর সমাজবিরোধী শাগরেদদের কাজে লাগিয়ে ২০২৬ এর আগে রাজ্যে তালিবানি রাজত্ব কায়েম করতে চাইছেন!’
সবশেষে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে তিনি আবেদন রাখেন,’আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কে আবেদন জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই দুষ্কৃতিকে খুঁজে বের করে এর বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নাহলে বোলপুর অঞ্চলে আমার কোনও কর্মী ভাই-বোনের গায়ে হাত পড়লে আমরাও তার সুযোগ্য জবাব দেব। শাসকদলের স্থানীয় দু-পয়সার দুষ্কৃতীদের হুমকিকে আমরা কোনওভাবেই ভয় পাই না।’।


