এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১২ ফেব্রুয়ারী : কোথাও “ওঁ” লেখা গেরুয়া পতাকায় লাথি মেরে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটেছে৷ কোথাও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি । বাংলাদেশি ইসলামি মৌলবাদীরা কট্টরপন্থা ও পরধর্ম অসিষ্ণুতার চরম সীমা অতিক্রম করেছে । সিলেটের হবিগঞ্জে সনাতন ধর্মের সর্বোচ্চ নাম পবিত্র ওঙ্কার প্রতীকের অবমাননার ঘটনা ঘটেছে । অন্যদিকে গোপালগঞ্জে একটি পারিবারিক রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পাঁচটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে মুসলিমরা ।
জানা গেছে,সিলেটের হবিগঞ্জে একটা ছোটখাটো বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল । তার ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল । ভিডিওতে কয়েকজন মুসলিম নাবালক,যুবককে আরবিতে কিছু লেখা কালো রঙের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে । বিক্ষোভের সময় আরবিতে কিছু লেখা কালো রঙের ব্যানার হাতে আরও কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে দেখা যায় । একজন লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরা মুসলিম ব্যক্তিকে ওই ব্যানারের সামনে ভারত,ইসরায়েল ও “ওঁ” লেখা গেরুয়া পতাকা মাটিতে বিছিয়ে দেয় । সেই সময় কেউ মাইক্রোফোন হাতে ‘কলিমার পতাকার অসম্মান’-এর কথা বলে । তার বক্তব্য শেষ হলে কয়েকজন এগিয়ে এসে “ওঁ” লেখা গেরুয়া পতাকাসহ বাকি দুই পতাকায় লাথি মারে । পতাকায় অগ্নিসংযোগের কথা ঘোষণা করা হলেও সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখা যায়নি ।
অন্যদিকে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জানা গেছে যে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের সুশান্ত দাসের পারিবারিক রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে সোমবার রাতে হামলা চালিয়ে পাঁচটি প্রতিমা ভাচুরের ঘটনা ঘটেছে। কাশিয়ানী থানার ওসি মহম্মদ শফিউদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বাড়ির মালিক সুশান্ত দাস বলেছেন, রাত ৮টার দিকে লন্ড্রির দোকান থেকে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরেন তিনি। রাত ৯টার দিকে প্রতিমাগুলো অক্ষত দেখে তিনি ঘুমাতে যান। ভোর ৬টায় সময় মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে তিনি রাধা, কৃষ্ণ, লক্ষ্মী ও লোকনাথের প্রতিমা ভাঙচুর এবং পূজার সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় দেখতে পান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যায় কাশিয়ানী উপজেলার অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টহল দল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মাহবুবুর রহমান (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) আব্দুল বাছেদ, কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফি উদ্দিন খান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা।কাশিয়ানী থানার ওসি মহম্মদ শফিউদ্দিন খান বলেছেন,’ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরের মালিক থানায় এসেছেন। মামলার দায়ের হয়েছে ।’।