এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,১০ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব শত্রুতার জেরে গ্রামেরই এক যুবককে চড় মেরে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা তারকনাথ মাজি ওরফে রাজু নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । গত ৪ ফ্রেবুয়ারি মঙ্গলকোট থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে চম্পট দেয় ওই তৃণমূল নেতা । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে কাসেমনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে । পরে তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । জানা গেছে,মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতে সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা মনিকা মাজির স্বামী ঘাতক তারকনাথ মাজি । তবে এলাকায় দলের নেতৃত্ব সামালানোর দায়িত্ব মূলত তার কাঁধেই রয়েছে । অন্যদিকে তারকনাথের চড়ে মৃত যুবক বুদ্ধদেব বাগদি জনমজুরের কাজ করতেন । অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার । যদিও এই খুনের ঘটনায় সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দায় এড়িয়ে গেছে ধৃতের দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটে গত ২ ফ্রেবুয়ারী সন্ধ্যায় । সেই সময় মাঠে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বুদ্ধদেব বাগদি । পূর্ব শত্রুতার জেরে তারকনাথ তার পথ আটকিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে । প্রতিবাদ করেন বুদ্ধদেবের বাঁদিকে কানের কাছে সপাটে চড় কষিয়ে দেয় তারকনাথ । সেখানেই পড়ে গিয়ে চেতনা হারিয়ে ফেলেন বুদ্ধদেব । প্রতিবেশীদের সহায়তায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু পরের দিন দুপুর থেকে গুরুতর অসুস্থ অনুভব করতে শুরু করেন বুদ্ধদেব । তাঁকে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অবস্থার অবনতি হলে গুসকরা হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন । কিন্তু বর্ধমানে গিয়েও গুরুতর আহত যুবকের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না । ফলে সেখান থেকে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় বুদ্ধদেবের।
ভাই বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর দাদা সহদেব বাগদি গত ৪ ফ্রেবুয়ারি মঙ্গলকোট থানায় তারকনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । এদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই তল্লাট ছাড়া হয়ে যায় ঘাতক তৃণমূল নেতা তারকনাথ মাজি । কিন্তু আজ সকালে কাসেমনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ ।।